বাংলা অর্থসহ তারাবির নামাজের দোয়া - Bangla Tarabi Namaz Dua
বাংলা অর্থসহ তারাবির নামাজের দোয়া |
তারাবির নামাজ হলো - রমজান মাসে এশার নামাজের পর ২০ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ নামায পড়া হয়। এই নামাজকে তারাবীহ নামাজ বলা হয়।
তারাবীহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল: বিশ্রাম, স্বস্তি, প্রশান্তি, শান্তি। প্রতি ৪ রাকাত তারাবীহ নামাজের পর একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি নেওয়া হয়।
রমজানের চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখার আগের রাতে এশার নামাজের পর তারাবিহ নামাজ পড়া রমজানের সুন্নত।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ আদায় করবে , তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।(সহীহ আল-বোখারি, হাদিস: ১৯০১, সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৫৯, সুনানে দারেমি: ১৮১৭, মুসনাদে আহমাদ: ৯৪৪৫, মুসনাদে হুমাইদি: ১০৩৭)
তারাবীহ নামাজ রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নামাজ । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘোষণা হল যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ মাসের দিনে রোজা ফরজ করেছেন এবং কিয়াম ও রাত্রি (নফল) করার মাধ্যমে গুনাহ মাফের উপলক্ষ করেছেন। ) এই মাসে নামাজ। এশার নামাজের পর তারাবীহ নামাজ পড়া হবে।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি রমজানের রাতে (তারাবি) ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় নামাজ পড়ে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।" সুবহানাল্লাহ! তাই মুমিন মুসলমানদের সুবিধার্থে তারাবি নামাজের উদ্দেশ্য, নিয়ম, দোয়া ও দোয়া নিয়ে আজ এই পোস্টে আলোচনা করা হবে ।
ইবাদতের বসন্ত পবিত্র রমজান মাসে। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের সওয়াব কয়েকগুণ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসে একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ করল সে যেন অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করল। (শুআবুল ঈমানঃ ৩/৩০৫-৩০৬)
তারাবি নামাজ মুসলমানরা এই মাসে ব্যাপকভাবে পালন করে এমন একটি নামাজ হলো তারাবি নামাজ। তারাবির নামাজের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে তারাবি পড়তে উৎসাহিত করতেন। একটি হাদিসে তিনি বলেছেন: "যে ব্যক্তি রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবীর) নামায ঈমান ও আখেরাতের আশা নিয়ে আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।" (নাসায়ী, হাদিস : ২২০৫ )
এই বিশেষ রাতের নামাজে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন। তারাবিকে ঘিরে মসজিদে ভিড় দেখা যায়।
রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের ফজিলতঃ
তারাবীহ নামাজ হলো রমজান মাসে গুনাহ মাফের একটি অন্যতম মাধ্যম। রমজান মাসে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ নামাজ অতীত জীবনের গুনাহকে মাফ করে দেয়। হাদিসে উল্লেখ আছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমজানের রাতে ঈমান ও সওয়াবের আশায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে , তার পূর্বের সকল গুনাহ গুলোকে মাফ করে দেওয়া হবে ।” (বুখারি ও মুসলিম)।
তারাবিহ নামাজ পড়ার নিয়মঃ
তারাবির নামাজ দুই রাকাতে পড়তে হবে। দুই রাকাত নামাজ পড়ুন এবং সালাত শেষ করার জন্য সালাম ফিরান। এভাবে ৪ রাকাত পড়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তাসবীহ-তাহলীল পড়া বা কিছুটা সময় নিয়ে পড়া উত্তম। বিরতির সময় তাসবীহ তাহলীল পাঠ করুন, দুআ-দুরূদ করুন এবং জিকির আজকার করুন। অতঃপর বিভিন্ন উদ্দেশ্যে দুই রাকাত করে তারাবি পড়া।
তারাবি নামাজের নিয়তঃ
প্রত্যেক আমলের জন্য নিয়ত করতে হয়। তারাবি নামাজের জন্যও নিয়ত করা হয়। নিয়ত মনে মনে বাংলাতেও করা যায়। আমাদের দেশের প্রচলিত তারাবির আরবি নিয়তটি হলো-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতেও এভাবে নিয়ত করা যাবে যে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।
তারাবিহ নামাজের দোয়াঃ
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
তারাবি নামাজের মোনাজাতঃ
اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
অনেকেই পরপর ৪ রাকাত নামাজ পড়েন। অনেকে পুরো নামাজ শেষ করে একসঙ্গে নামাজ পড়েন। তবে বিতরের নামাজ পরে পড়া উত্তম।
একটি দুআ প্রাচীনকাল থেকে সারাদেশের লোকেরা প্রার্থনার জন্য ব্যাপকভাবে পাঠ করে আসছে। তারাবির নামাযের মত এই নামা জ কিনা এর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু নামাজের কথাগুলো খুবই সুন্দর ও স্পষ্ট। এই নামাজটিকে অনেকেই তারাবীর নামাযের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন। কেউ কেউ এমনও মনে করেন যে, এই নামায ছাড়া তারাবির নামায হবে না। এই ধারণা/বিশ্বাস মোটেও সঠিক নয়। তবে এই নামায পড়া কোন গুনাহ নয়।
তবে রমজান জুড়ে বিশ্বনবির এ ইসতেগফার দুইটি বেশি বেশি পড়া জরুরি। আর তাহলো-
اَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧَّﻚَ ﻋَﻔُﻮٌّ ﺗُﺤِﺐُّ اﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻓَﺎﻋْﻒُ ﻋَﻨِّﻲ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আ’ন্নি।
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি; ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আ’হদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাত্বা’তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা’তু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া; ওয়া আবুউ বিজামবি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে তারাবি নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। রাতের নামাজ (তারাবি ) আদায়ের মাধ্যমে বিগত জীবনের সব গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
তারাবির নামাজ কি
তারাবীহ বা কিয়ামুল লাইল হলো রাতের একটি বিশেষ সুন্নত নামাজ যেটি মুসলিমগণ রমজান মাসব্যপী প্রতি রাতে এশার ফরজ নামাজের পর দীর্ঘ তিলাওয়াত সহকারে পড়ে থাকেন। তারাবীহ সালাত জোড়া জোড়া রাকাত করে যেকোনো জোড় সংখ্যক রাকআত পড়া হয়। তারাবীহ সালাতের পর বিতর সালাত পড়া হয়। তারাবীহর নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি।
তারাবির নামাজ কত রাকাত এবং কিভাবে পড়বেন?
তারাবির নামাজ কি? রমজান মাসের রাতে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে 'তারাবি নামাজ' বলা হয়। আরবি 'তারাবিহ' শব্দটির মূল ধাতু 'রাহাতুন' অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।
তারাবির নামাজের কোন দোয়া কখন পড়তে হয়?
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার। তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়।Mar 25, 2023
তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা হবে?
আপনি যদি রমজানের পুরো মাস ধারাবাহিকভাবে তারাবির নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে আপনি পবিত্র কোরআন খতম দেওয়ার সওয়াবও পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি কেউ তারাবির নামাজ পড়তে না পারেন, তাতে সমস্যা নেই। এতে রোজায় কোনো প্রভাব পড়বে না। তারাবির নামাজ না পড়তে পারলেও রোজা হবে।
তারাবির নামাজ পড়া কি?
'তারাবিহ' শব্দটি আরবি তারভিহাতুন থেকে এসেছে, যার অর্থ বিশ্রাম করা, প্রশান্তি লাভ করা। তারাবি নামাজে যেহেতু প্রতি চার রাকাত পর পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তাসবিহ ও দোয়া পাঠ করা হয়, তাই এই নামাজকে সালাতুত তারাবিহ বা তারাবি নামাজ বলা হয়। তারাবির নামাজ এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর এবং বিতিরের পূর্বে আদায় করা হয়।
রমাদান মাসে 20 রাকাত তারাবি সালাত জামাতে আদায় করার প্রচলন করেন কে?
তাদের মতে ইসলমের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (র.) তারাবীহ নামাজ ২০ রাকাত চালু করেন।
রমজান মাসে তারাবীর নামায বিশ রাকাত হওয়ার তথ্যসূত্র কোনটি?
তারাবি নামাজ আট নয়, বিশ রাকাত হিসেবেই প্রমাণিত। কেউ কেউ হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর ২০ রাকাত তারাবি বিষয়ক হাদিসটিকে সূত্রের বিচারে অনির্ভরযোগ্য প্রমাণ করলেও; বিশুদ্ধ সূত্রে সাহাবায়ে কেরামের আমলই প্রমাণ করে যে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে সাহাবায়ে কেরাম বিশ রাকাতের শিক্ষা পেয়েছেন।
তারাবীহ কত রাকাত?
রাসুল (সাঃ) এর বাণী অনুসারে, তারাবীহের আচার আট রাকাত লম্বা। এটি আপনার সাধারণ সালাতের মতো, যেখানে তারাবীহ পরপর দুই রাকাতে পাঠ করা হয়। তাই তারাবীহের জন্য 20 রাকাত দীর্ঘতম এবং দুই রাকাত সবচেয়ে ছোট।
২০ রাকাত তারাবির প্রবর্তন করেন কে?
উমরের নির্দেশে জামাতের সাথে ২০ রাকাত তারাবীহ প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছিল এবং উমরই পুরো মাসে এই ২০ রাকাত তারাবীহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url