গোপালগঞ্জ জেলার পরিচিতি - INTRODUCTION OF GOPALGANJ DISTRICT
গোপালগঞ্জ জেলার পরিচিতি
গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস
গোপালগঞ্জ জেলার নামকরণ
গোপালগঞ্জ জেলার অবস্থান ও আয়তন
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
উপজেলাসমূহ
গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
- কোটালিপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারী কলেজ,কোটালিপাড়া।
- শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ,
গোপালগঞ্জ।
- গোপালগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ
- সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ
- শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ
- হাজী লালমিয়া সিটি কলেজ, গোপালগঞ্জ
- সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ
- সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ, টুঙ্গিপাড়া
- মুকসুদপুর সরকারি কলেজ, মুকসুদপুর
- এম এ খালেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কাশিয়ানী
- রাজপাট কলেজ, রাজপাট, কাশিয়ানী
- জয়নগর ইয়ার আলী খান ডিগ্রী কলেজ জয়নগর, কাশিয়ানী
- রাতইল আইডিয়াল কলেজ, রাতইল, কাশিয়ানী
- উজানী বি.কে.বি. ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয়, মুকসুদপুর
- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, গোপালগঞ্জ
- বড়ফা এ.জি.এম স্কুল এন্ড কলেজ
- এম এইচ খান ডিগ্রী কলেজ। উলপুর,গোপালগঞ্জ সদর।
- সরকারি নজরুল কলেজ, সাতপাড়, গোপালগঞ্জ।
- সরকারি এস.কে. কলেজ, রামদিয়া ।
- ড.ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল কলেজ, টুঙ্গিপাড়া।
- কৃষ্ণপুর কলেজ,কৃষ্ণপুর,সাহাপুর,গোপালগঞ্জ সদর
মাদ্রাসা
- জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, টুঙ্গিপাড়া
- হিরণ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা,হিরণ,কোটালিপাড়া।
- উলপুর কংশুর সামসুল উলুম জামিয়াতু সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিম খানা, উলপুর গোপালগঞ্জ সদর।
- পাইককান্দি পঞ্চপল্লী মাদরাসা, পাইককান্দি, গোপালগঞ্জ সদর
- আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া সুলতানশাহী ঘোড়াদাইড় সুলতানুল উলুম মাদরাসা, সুলতানশাহী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
- গোয়ালগ্রাম কামিল মাদ্রাসা গোয়ালগ্রাম, কাশিয়ানী
- ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, বোড়াশি, গোপালগঞ্জ সদর
- কোর্ট মসজিদ মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর
- পাইককান্দি পঞ্চপল্লী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর
- বনগ্রাম পশ্চিম পাড়া শামছিয়া কওমিয়া কবরস্থান মাদ্রাসা,করপাড়া ইউনিয়ন,গোপালগঞ্জ সদরবনগ্রাম পূর্বপাড়া সুলতানিয়া মাদ্রাসা,গোপালগঞ্জ সদর
- বলাকইড় উত্তরপাড়া মাদ্রাসা,বলাকইড়,গোপালগঞ্জ সদর
- আড়ুয়া কংশুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা,গোপালগঞ্জ সদর
টেকনিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ
- টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, গোপালগঞ্জ
- পিটিআই, ঘোনাপাড়া, গোপালগঞ্জ
- টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন, ঘোনাপাড়া, গোপালগঞ্জ
- বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন, গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
- গোপালগঞ্জ মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইসলামপাড়া গোপালগঞ্জ সদর
- হরিদাসপুর পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট,গোপালগঞ্জ সদর
উচ্চবিদ্যালয়
- সৈয়াদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, তিলছাড়া, কাশিয়ানী।
- হিরণ পঞ্চপল্লি উচ্চ বিদ্যালয়,হিরণ,কোটালিপাড়া।
- সুলতানশাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুলতানশাহী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
- এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর
- উলপুর পি.সি. উচ্চ বিদ্যালয়। উলপুর গোপালগঞ্জ সদর।
- স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
- বীণাপাণি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
- যুগশিখা স্কুল
- কাশিয়ানী জি সি উচ্চবিদ্যালয়, কাশিয়ানী
- বাথানডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, বাথানডাঙ্গা, কাশিয়ানী
- ভাদুলিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ভাদুলিয়া, কাশিয়ানী
- নিজড়া সপ্তপল্লি বি, কে, উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ
- ফুকরা মদন মোহন একাডেমি(ফুকরা এম. এম. একাডেমি), কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ
- মাঝিগাতী উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
- মৌলভী আব্দুল হাই মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, গোবিন্দপুর, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ
- সাতপাড় দীননাথ গয়ালীচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,সাতপাড়, গোপালগঞ্জ।
- করপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, করপাড়া ,গোপালগঞ্জ সদর
- শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়,কংশুর-উলপুর,গোপালগঞ্জ সদর
- ডালনিয়া আই এ উচ্চ বিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ সদর
- বোলতলী সাহাপুর সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ সদর
- ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া।
গোপালগঞ্জ জেলার চিত্তাকর্ষক স্থান
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
- চন্দ্রা বর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
- কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
- হরিনাহাটি জমিদার বাড়ি,
- দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ি,
- বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত),
- সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
- উজানীর জমিদার বাড়ি,
- শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
- জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
- ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
- ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী,
- ধর্মরায়ের বাড়ি,
- দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
- মধুমতি নদী,
- বিলরুট ক্যানেল,
- হিরন্যকান্দী আমগাছ,
- আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
- শুকদেবের আশ্রম,
- খানার পাড় দীঘি,
- উলপুর জমিদার বাড়ি,
- এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর(কোটালিপাড়া)
- ৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ),
- রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
- সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।
- পাগল সেবাশ্রম, কদমবাড়ি।
- গওহরডাঙ্গা মাদরাসা( টুঙ্গিপাড়া)
- বাঘিয়ার বিল(টুঙ্গিপাড়া)।
- হোগলাডাঙ্গা বড় মসজিদ।
- ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি,
- ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর।
- সুকতাইল মঠবাড়ি
- বাটিকামারী জমিদার বাড়ি
- শেখ রাসেল শিশুপার্ক, টুুুঙ্গিপাড়া
- শেখ কামাল স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জ
- লেকপাড়, গোপালগঞ্জ শহর
- ব্যাসপুর বাগের জামে মসজিদ।
- ফেলারাম পাগলের সেবাশ্রম-পাগলের ভিটে ,কাটরবাড়ি, গোপালগঞ্জ
- বলাকইড় পদ্মবিল,করপাড়া,গোপালগঞ্জ সদর
- শ্রী শ্রী ফেলারাম পাগল সেবাশ্রম,কাটর বাড়ি,গোপালগঞ্জ সদর
- শাবানা পার্ক,গোপালগঞ্জ সদর
গোপালগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- শেখ মুজিবুর রহমান - স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক।
- শেখ হাসিনা - বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
- শামসুল হক ফরিদপুরী - লেখক, ইসলামী চিন্তাবিদ।
- শেখ লুৎফুর রহমান - মুজিব পিতা, সেরেস্তাদার, ব্রিটিশ ভারতের গোপালগঞ্জ দেওয়ানী আদালতের নথি সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা।
- মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমেদ
- সায়েরা খাতুন - বঙ্গবন্ধুর জননী।
- জামিল উদ্দিন আহমেদ - বীর উত্তম।
- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব - বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি।
- শেখ আবু নাসের - বঙ্গবন্ধুর ভাই।
- মুজিবুর রহমান হাওলাদার (রাজনীতিবিদ)
- শেখ কামাল - বঙ্গবন্ধুর প্রথম ছেলে।
- শেখ জামাল - বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে।
- শেখ রাসেল - বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।
- শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর - কলিযুগের অবতার,মতুয়া ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা।
- শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর- সমাজ সংস্কারক এবং মতুয়া ধর্মের প্রচারক।
- রমেশচন্দ্র মজুমদার - বাঙালি ইতিহাসবিদ।
- সুধীরলাল চক্রবর্তী - সুরকার।
- নির্মল সেন - সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা ও মুক্তিযোদ্ধা।
- শেখ রেহানা - বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় মেয়ে।
- সুকান্ত ভট্টাচার্য - কবি।
- শহীদ উল্লা খন্দকার - সরকারি কর্মকর্তা।
- কাজী আব্দুর রশীদ - রাজনিতিবিদ।
- রকিবুল হাসান - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।
- শেখ ফজলুল হক মনি - যুবলীগের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান।
- শেখ ফজলুল করিম সেলিম - সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও এম.পি।
- শেখ ফজলে নূর তাপস - সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
- ফারুক খান - সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও এম.পি।
- মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (চিকিৎসক)
- মথুরানাথ বসু - বিশিষ্ট খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারক।
- এম এ সাঈদ - সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
- ফিরোজা বেগম - সংগীত শিল্পী।
- কাজী হায়াৎ - পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক এবং অভিনেতা।
- শাকিব খান - অভিনেতা, প্রযোজক, চলচ্চিত্রকার।
- কাজী মারুফ - অভিনেতা, প্রযোজক।
- জয়া আহসান - অভিনেত্রী।
- শারফুদ্দিন আহমেদ - প্রখ্যাত চিকিৎসক।
- এস এম ইমদাদুল হক - বীর উত্তম।
- মোক্তার আলী - বীর প্রতীক।
- বেনজির আহমেদ - মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ।
- চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত - ধারাভাষ্যকার।
- কাজী ফিরোজ রশীদ - সাবেক মন্ত্রী।
- হেমায়েত উদ্দীন - বীর বিক্রম, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তম ফরিদপুর অঞ্চলের হেমায়েত বাহিনীর প্রধান।
- এম ফিরোজ আহমেদ - শিক্ষাবিদ।
- স্যামসন এইচ চৌধুরী - স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান
- মনিরুল ইসলাম - ডিআইজি, গোয়েন্দা পুলিশ।
- মারজুক রাসেল - গীতিকার।
- নরেন বিশ্বাস - লেখক, গবেষক, আবৃত্তি শিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধা।
- হাবিবুর রহমান - ডিআইজি,ঢাকা রেঞ্জ।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এক নজরে গোপালগঞ্জ
এক নজরে গোপালগঞ্জ
জেলা সৃষ্টির ইতিহাস | মধুমতির কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আজকের গোপালগঞ্জ শহর। প্রাচীনকালে এ এলাকাটি বঙ্গ অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। সুলতানী ও মোঘল যুগে এ অঞ্চল হিন্দু রাজারা শাসন করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের (১৭৯৩) সময় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত আর বাকী অংশ ছিল ঢাকা-জালালপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১৮০৭ সালে মুকসুদপুর থানা যশোর থেকে ফরিদপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়। ফরিদপুর জেলার একটি পরগনার নাম ছিল জালালপুর। গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া জালালপুর পরগনাভুক্ত ছিল। ১৮১২ সালে চান্দনা (মধুমতি) নদী যশোর ও ঢাকা-জালালপুর জেলার বিভক্ত রেখা হিসেবে নির্ধারিত হয়। গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর এলাকা ছিল বিশাল জলাভূমি। এখানে নৌ-ডাকাতির প্রকোপ ছিল বেশী। এজন্য বাকেরগঞ্জ থেকে বিভাজিত হয়ে ১৮৫৪ সালে মাদারীপুর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭২ সালে মাদারীপুর মহকুমায় গোপালগঞ্জ নামক একটি থানা গঠিত হয়। ১৮৭৩ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। গোপালগঞ্জ এবং কোটালীপাড়া থানার সঙ্গে ফরিদপুর মহকুমার মুকসুদপুর থানাকে নবগঠিত গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গোপালগঞ্জের প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব সুরেশ চন্দ্র সেন। ১৯১০ সালে মহকুমা প্রশাসকের বেঞ্চ কোর্ট ফৌজদারি কোর্টে উন্নীত হয়। ১৯২১ সালে গোপালগঞ্জ শহরের মানে উন্নীত হয়। আদমশুমারি অনুযায়ী তখন গোপালগঞ্জ শহরের লোকসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪ শত ৭৮ জন। ১৯২৫ সালে গোপালগঞ্জে সিভিল কোর্ট চালু হয়। ১৯৩৬ সালে মুকসুদপুর থানা বিভক্ত হয়ে কাশিয়ানী থানা গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে গোপালগঞ্জ সদর থানাকে ভেঙ্গে টুঙ্গিপাড়া নামক একটি থানা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব এ. এফ. এম. এহিয়া চৌধুরী। বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব কাজী মাহবুবুল আলম ২০২২ সালের ০৪ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। |
নামকরণ | কলকাতার জ্ঞানবাজার নিবাসী প্রীতিরাম দাস ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে অনুর্বর অসমতল মকিমপুর পরগনা (বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার আওতায়) জমিদারী তৎসময়ে ঊনিশ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। তার দ্বিতীয় পুত্র রাজচন্দ্র দাস ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল মাহিষ্য বংশীয় মেয়ে রাসমনিকে বিয়ে করেন। জমিদার রাজচন্দ্র তার স্ত্রী রানী রাসমনি ও তাঁর বিবাহিত তিন মেয়েকে রেখে ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুন মাত্র ৪৯ বৎসর বয়সে মারা যান। জমিদার রাজচন্দ্র ও রাসমনির কোন পুত্র সন্তান ছিলনা। চার কন্যার মধ্যে প্রথম কন্যা পদ্মমনির বিয়ে হয় রামচন্দ্রের সাথে। তাঁদের মহেন্দ্র নাথ, গনেশচন্দ্র, সৌদামিনী, সুভদ্রা, বলরাম, কালী এবং সতীনাথ নামে সাতটি সন্তান জন্ম হয়। প্রথম পুত্র মহেন্দ্র নাথ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। ফলে জীবিত বয়েজ্যেষ্ঠ পুত্র গনেশ জমিদার হন। খাটরা এস্টেটের প্রজারা রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খাটরা এস্টেটের রাজগঞ্জ বাজারের নাম বদল করে রানীর নাতি তথা গনেশের একমাত্র পুত্র নব গোপালের নামানুসারে রাখতে চান। নব গোপালের নামের "গোপাল " ও রাজগঞ্জের "গঞ্জ" এই মিলিয়ে গোপালগঞ্জ নামকরণ করা হয়। |
ভৌগোলিক অবস্থান | |
অবস্থান | প্রায় ২২০৫১' থেকে ২৩০৫০' উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯০০' থেকে ৯০০১০' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ |
আয়তন | ১৪৮৯.৯২ বর্গ কিঃমিঃ |
সীমানা | গোপালগঞ্জ জেলা ০৫ টি উপজেলা, ০৫ টি থানা, ০৪ টি পৌরসভা, ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ৬৫৩ টি মৌজা নিয়ে গঠিত। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত । ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার দূরত্ব ১৩০ কি. মি. প্রায়। |
সীমান্তবর্তী জেলাসমূহ | উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত । |
ভূপ্রকৃতি | সমূদ্র পৃষ্ঠ হতে গোপালগঞ্জ জেলার উচ্চতাঃ তুলনামুলক ভাবে উচু অংশ ২৫ থেকে ৩০ ফুট এবং নিচু অংশ ১৪ থেকে ১৬ ফুট উচ্চে অবস্থিত । মোট জমির পরিমাণঃ ৩৬৭১৬০.৫৬ একর আবাদী জমির পরিমাণঃ ২৭৪০৪৮.৯৭ একর |
প্রধান নদ-নদী | মধুমতি, বাঘিয়ার, ঘাঘর, পুরাতন কুমার, বিলরুট ক্যানেল, কালিগঙ্গা,টঙ্গীখাল, দিগনার, বাগদা, কুশিয়ারা, মধুপুর, শৈলদহ, ছন্দা। |
জলবায়ু | বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা ২৫.৫০C; বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৮৮৫ মিলিমিটার |
জীব বৈচিত্র | এখানকার নদনদীতে কৈ, শিং, মাগুর, চাপিলা, কাঁচকি, রুই, কাতলা, গনিয়া, কালিবাউশ, রায়েক, ঘেসোবাটা, পুটি, মলা, চেলা, বাঁশপাতা, আইর, টেংরা, বজুরী, রিটা, রোল, ঘাউরা, কাজলি, বাচা, সিলেন্দা, খলসা, কেচিখলসা, তপসে, শোল, গজার ও বাইন মাছের পাশাপাশি শুশুকের দেখা মেলে। |
প্রশাসনিক তথ্য | |
জনসংখ্যা | ১১,৭২,৪১৫ জন (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে) |
শিক্ষার হার | ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী) |
সংসদীয় আসন সংখ্যা | ০৩ টি |
নির্বাচনী এলাকার/ সংসদীয় আসনের নাম | সাংসদের নাম | ফোন ও ই-মেইল | মন্তব্য (কোন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কি না/ সংসদীয় কোন স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কি না |
২১৫ গোপালগঞ্জ -১ | মুহাম্মদ ফারুক খান | ||
২১৬ গোপালগঞ্জ -২ | শেখ ফজলুল করিম সেলিম | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি | |
২১৭ গোপালগঞ্জ -৩ | শেখ হাসিনা | মাননীয় প্রধানমন্ত্রী |
সিটি কর্পোরেশনের নাম | প্রযোজ্য নয় |
উপজেলা | ৫ টি |
উপজেলার নাম | উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম | ফোন ও ই-মেইল |
গোপালগঞ্জ সদর | শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু | মোবাইল : ০১৭৪৯০৮২৯৯৪ ইমেইল : lutfor@yahoo.com |
মুকসুদপুর | মোঃ কাবির মিয়া | মোবাইল : +8801711329415 ইমেইল : kabirmiah870@gmail.com |
কাশিয়ানী | সুব্রত ঠাকুর | মোবাইল : ০১৭১৬৪৮২৬৯৩ |
কোটালীপাড়া | বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস | মোবাইল : 01727701066 ইমেইল : bkbiswas55555@gmail.com |
টুঙ্গিপাড়া | মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস | মোবাইল : ০১৭১১০৬৬০৭১ ইমেইল : uzctungipara@lgd.gov.bd |
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স | ০৪ টি |
পৌরসভা | ০৪ টি (গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, মুকসুদপুর) |
ইউনিয়ন পরিষদ | ৬৭ টি |
আবাসন/ আশ্রয়ণ প্রকল্প | ২২ টি , গুচ্ছগ্রাম-২৩ টি |
আদর্শ গ্রাম | ১৮ টি |
স্কুলের সংখ্যা | |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা | ৮৬২ টি |
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা | ২০৩ টি |
কলেজের সংখ্যা | ২৮ টি |
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা | ০১ টি |
মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা | ০১ টি |
জেনারেল হাসপাতালের সংখ্যা | ০১ টি |
ইতিহাস ও সাহিত্য | |
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি | ১. গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ' জয় বাংলা পুকুর ' ৭১ এর বধ্যভূমি। ২. ভাটিয়াপাড়া সম্মুখসমর স্মৃতিসৌধ। ৩. ০৭ মার্চ চত্তর। |
দর্শনীয় স্থান | ১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স, টুঙ্গিপাড়া। ২. কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ী (০৮ এপ্রিল হিন্দু সম্প্রদায়ের বার্ষিক বৃহত্তম জমায়েত হয়) । ৩. কোটালীপাড়া উপজেলার ঊনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্তের পৈত্রিক ভিটা। ৪. গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ' জয় বাংলা পুকুর ' ৭১ এর বধ্যভূমি। ৬. টুঙ্গিপাড়া উপজেলাধীন বর্ণি বাওড় ৭. টুঙ্গিপাড়াস্থ বাগানবাড়ী (পাখির অভয়ারণ্য)। ৮. কোটালীপাড়া উপজেলাধীন হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়ার লাল শাপলার বিল। ৯. বলাকইড় পদ্মবিল। ১০. হিরণ্যকান্দি গ্রামের শতবর্ষী আম গাছ। ১১. উজানী ও বনগ্রাম জমিদার বাড়ী। |
বিশেষ উৎসব | নৌকা বাইচ, শুকান্ত মেলা, বারুনী স্নান উৎসব। |
ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী | রাজবংশী, বর্মণ |
গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ
মানচিত্রে গোপালগঞ্জ
নদ-নদী
- ১. মধুমতি
- ২. বাঘিয়ার নদী
- ৩. ঘাঘর
- ৪. পুরাতন কুমার
- ৫. বিলরুট ক্যানেল ( এটি কৃত্তিমভাবে তৈরি করা হয় ১৩১৭ বঙ্গাব্দ/১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ)
- ৬. কালিগঙ্গা
- ৭. টঙ্গীখাল
- ৮. দিগনার
- ৯. বাগদা
- ১০. কুশিয়ারা
- ১১. মধুপুর
- ১২. শৈলদহ
- ১৩. ছন্দা
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url