amarbangla

গোপালগঞ্জ জেলার পরিচিতি - INTRODUCTION OF GOPALGANJ DISTRICT

 গোপালগঞ্জ জেলার পরিচিতি

গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ এর ঢাকা বিভাগের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর বা প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি রাজধানী ঢাকা ১২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মধুমতি নদীর তীরের অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ১৪৬৮.৭৪ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১১,৭২,৪১৫ জন। গোপালগঞ্জ হলো এই জেলার প্রধান ও জেলাসদর শহর। শহরটি ক শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে তালিকাভুক্ত। গোপালগঞ্জ মিউনিসিপিলিটি কমিটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। 

গোপালগঞ্জ জেলার পরিচিতি - INTRODUCTION OF GOPALGANJ DISTRICT



এর বর্তমান মেয়র বাংলাদেশ আওয়ালীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ রকিব উদ্দিন। রেলপথের সাথে সংযুক্ত থাকলেও শহরের যোগাযোগের প্রধান উপায় সড়ক পথ। শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।[২] এই জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা। যশোর বিমানবন্দর, গোপালগঞ্জের সবচেয়ে নিকটবর্তী আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর। গোপালগঞ্জ এর আবহাওয়া গরম ও আর্দ্র জলবায়ু বিশিষ্ট। জেলাটিতে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশকিছু উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) তৎকালীন ফরিদপুর জেলার একটি মহকুমা ছিলো গোপালগঞ্জ জেলা। এই গোপালগঞ্জ জেলা এক সময় রাজগঞ্জ নামেও পরিচিত ছিল।

গোপালগঞ্জ জেলার নামকরণ

গোপালগঞ্জ অঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রানী রাসমনির দায়িত্বে ছিল। তিনি এক জেলে কন্যা ছিলেন। তিনি একদিন এক ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। তখন ছিলো সিপাই বিদ্রোহের সময়। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজরাতাকে সম্পূর্ণ মাকিমপুর অঞ্চল দিয়ে দেন। রানী রাসমনির নাতি ছিলেন গোপাল। ধারণা করা হয় সেই গোপালের নামানুসারে রাজগঞ্জের নাম হয় গোপালগঞ্জ।

গোপালগঞ্জ জেলার অবস্থান ও আয়তন

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা ২৩°৩৬' উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°৫১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা। এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। 

ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা। এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। মুসলমান ৭৩.৬২%, হিন্দু ২৫.১৩%, খ্রিষ্টান ১.২০% এবং অন্যান্য ০.০২%। শিক্ষার গড় হার ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাট ও তরমুজ। প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রবর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ), বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির, ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির, কোর্ট মসজিদ, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

গোপালগঞ্জ জেলা ৫ টি উপজেলা, ৫ টি থানা, ৪টি পৌরসভা ও ৬৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

উপজেলাসমূহ

গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ৫ টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:

ক্রম নংউপজেলাআয়তন[৪]
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানাআওতাধীন এলাকাসমূহ
০৫মুকসুদপুর উপজেলা৩০৯.৬৩মুকসুদপুরপৌরসভা (১টি): মুকসুদপুর
০৫মুকসুদপুর উপজেলা৩০৯.৬৩মুকসুদপুরইউনিয়ন (১৬টি):পশারগাতি ইউনিয়নগোবিন্দপুর ইউনিয়নখান্দারপাড় ইউনিয়নবহুগ্রাম ইউনিয়নবাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নভাবড়াশুর ইউনিয়নমহারাজপুর ইউনিয়নবাটিকামারী ইউনিয়নদিগনগর ইউনিয়নরাঘদী ইউনিয়নগোহালা ইউনিয়নমোচনা ইউনিয়নউজানী ইউনিয়নকাশালিয়া ইউনিয়নননীক্ষীর ইউনিয়নজলিরপাড় ইউনিয়ন
০৪কাশিয়ানী উপজেলা২৯৯.৬৪কাশিয়ানী
০৪কাশিয়ানী উপজেলা২৯৯.৬৪কাশিয়ানীইউনিয়ন(১৪টি:মহেশপুর ইউনিয়নকাশিয়ানী ইউনিয়নসাজাইল ইউনিয়নপারুলীয়া ইউনিয়নমাহমুদপুর ইউনিয়নরাতইল ইউনিয়নওড়াকান্দি ইউনিয়নবেথুড়ি ইউনিয়নরাজপাট ইউনিয়নফুকরা ইউনিয়নপুইশুর ইউনিয়ননিজামকান্দি ইউনিয়নসিংগা ইউনিয়নহাতিয়াড়া ইউনিয়ন
০৩কোটালীপাড়া উপজেলা৩৬২কোটালীপাড়াপৌরসভা (১টি): কোটালীপাড়া পৌরসভা
০৩কোটালীপাড়া উপজেলা৩৬২কোটালীপাড়াইউনিয়ন (১২ টি):বান্ধাবাড়ী ইউনিয়নসাদুল্লাপুর ইউনিয়নরাধাগঞ্জ ইউনিয়নকলাবাড়ী ইউনিয়নরামশীল ইউনিয়নআমতলী ইউনিয়নকান্দি ইউনিয়নহিরণ ইউনিয়নপিঞ্জুরী ইউনিয়নশুয়াগ্রাম ইউনিয়নকুশলা ইউনিয়নঘাঘর ইউনিয়ন
০২টুঙ্গিপাড়া১২৭.২৫টুঙ্গিপাড়াপৌরসভা (১টি): টুঙ্গিপাড়া
০২টুঙ্গিপাড়া১২৭.২৫টুঙ্গিপাড়াইউনিয়ন (৫টি):পাটগাতি ইউনিয়নডুমুরিয়া ইউনিয়নগোপালপুর ইউনিয়নকুশলী ইউনিয়নবর্ণী ইউনিয়ন
০১গোপালগঞ্জ সদর৩৮৯.৪২গোপালগঞ্জ সদরপৌরসভা (১টি): গোপালগঞ্জ পৌরসভা
০১গোপালগঞ্জ সদর৩৮৯.৪২গোপালগঞ্জ সদরইউনিয়ন (২১টি):জালালাবাদ ইউনিয়নবৌলতলী ইউনিয়নশুকতাইল ইউনিয়নচন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নগোপীনাথপুর ইউনিয়নপাইককান্দি ইউনিয়নউরফি ইউনিয়নলতিফপুর ইউনিয়নসাতপাড় ইউনিয়নসাহাপুর ইউনিয়নহরিদাসপুর ইউনিয়নউলপুর ইউনিয়ননিজড়া ইউনিয়নকরপাড়া ইউনিয়নদুর্গাপুর ইউনিয়নকাজুলিয়া ইউনিয়নকাঠি ইউনিয়নমাঝিগাতী ইউনিয়নরঘুনাথপুর ইউনিয়নগোবরা ইউনিয়নবোড়াশী ইউনিয়ন


গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান


বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ



গোপালগঞ্জ।

  • গোপালগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ
  • সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ
  • শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ
  • হাজী লালমিয়া সিটি কলেজ, গোপালগঞ্জ
  • সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ
  • সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ, টুঙ্গিপাড়া
  • মুকসুদপুর সরকারি কলেজ, মুকসুদপুর
  • এম এ খালেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কাশিয়ানী
  • রাজপাট কলেজ, রাজপাট, কাশিয়ানী
  • জয়নগর ইয়ার আলী খান ডিগ্রী কলেজ জয়নগর, কাশিয়ানী
  • রাতইল আইডিয়াল কলেজ, রাতইল, কাশিয়ানী
  • উজানী বি.কে.বি. ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয়, মুকসুদপুর
  • শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, গোপালগঞ্জ
  • বড়ফা এ.জি.এম স্কুল এন্ড কলেজ
  • এম এইচ খান ডিগ্রী কলেজ। উলপুর,গোপালগঞ্জ সদর।
  • সরকা‌রি নজরুল ক‌লেজ, সাতপাড়, গোপালগঞ্জ।
  • সরকারি এস.কে. কলেজ, রামদিয়া ।
  • ড.ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল কলেজ, টুঙ্গিপাড়া।
  • কৃষ্ণপুর কলেজ,কৃষ্ণপুর,সাহাপুর,গোপালগঞ্জ সদর

মাদ্রাসা

  • জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, টুঙ্গিপাড়া
  • হিরণ ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা,হিরণ,কোটালিপাড়া।
  • উলপুর কংশুর সামসুল উলুম জামিয়াতু সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিম খানা, উলপুর গোপালগঞ্জ সদর।
  • পাইককান্দি পঞ্চপল্লী মাদরাসা, পাইককান্দি, গোপালগঞ্জ সদর
  • আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া সুলতানশাহী ঘোড়াদাইড় সুলতানুল উলুম মাদরাসা, সুলতানশাহী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
  • গোয়ালগ্রাম কামিল মাদ্রাসা গোয়ালগ্রাম, কাশিয়ানী
  • ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, বোড়াশি, গোপালগঞ্জ সদর
  • কোর্ট মসজিদ মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর
  • পাইককান্দি পঞ্চপল্লী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর
  • বনগ্রাম পশ্চিম পাড়া শামছিয়া কওমিয়া কবরস্থান মাদ্রাসা,করপাড়া ইউনিয়ন,গোপালগঞ্জ সদরবনগ্রাম পূর্বপাড়া সুলতানিয়া মাদ্রাসা,গোপালগঞ্জ সদর
  • বলাকইড় উত্তরপাড়া মাদ্রাসা,বলাকইড়,গোপালগঞ্জ সদর
  • আড়ুয়া কংশুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা,গোপালগঞ্জ সদর

টেকনিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ
  • টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, গোপালগঞ্জ
  • পিটিআই, ঘোনাপাড়া, গোপালগঞ্জ
  • টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন, ঘোনাপাড়া, গোপালগঞ্জ
  • বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন, গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
  • গোপালগঞ্জ মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইসলামপাড়া গোপালগঞ্জ সদর
  • হরিদাসপুর পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট,গোপালগঞ্জ সদর

উচ্চবিদ্যালয়

  • সৈয়াদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, তিলছাড়া, কাশিয়ানী।
  • হিরণ পঞ্চপল্লি উচ্চ বিদ্যালয়,হিরণ,কোটালিপাড়া।
  • সুলতানশাহী কেকানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুলতানশাহী, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
  • এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর
  • উলপুর পি.সি. উচ্চ বিদ্যালয়। উলপুর গোপালগঞ্জ সদর।
  • স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
  • বীণাপাণি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
  • যুগশিখা স্কুল
  • কাশিয়ানী জি সি উচ্চবিদ্যালয়, কাশিয়ানী
  • বাথানডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, বাথানডাঙ্গা, কাশিয়ানী
  • ভাদুলিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ভাদুলিয়া, কাশিয়ানী
  • নিজড়া সপ্তপল্লি বি, কে, উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ
  • ফুকরা মদন মোহন একাডে‌মি(ফুকরা এম. এম. একাডে‌মি), কা‌শিয়ানী, গোপালগঞ্জ
  • মাঝিগাতী উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
  • মৌলভী আব্দুল হাই মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, গোবিন্দপুর, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ
  • সাতপাড় দীননাথ গয়ালীচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়,সাতপাড়, গোপালগঞ্জ।
  • করপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, করপাড়া ,গোপালগঞ্জ সদর
  • শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়,কংশুর-উলপুর,গোপালগঞ্জ সদর
  • ডালনিয়া আই এ উচ্চ বিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ সদর
  • বোলতলী সাহাপুর সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ সদর
  • ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া।

গোপালগঞ্জ জেলার চিত্তাকর্ষক স্থান

  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
  • চন্দ্রা বর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
  • কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
  • কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
  • হরিনাহাটি জমিদার বাড়ি,
  • দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ি,
  • বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত),
  • সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
  • উজানীর জমিদার বাড়ি,
  • শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
  • জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
  • ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
  • ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী,
  • ধর্মরায়ের বাড়ি,
  • দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
  • মধুমতি নদী,
  • বিলরুট ক্যানেল,
  • হিরন্যকান্দী আমগাছ,
  • আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
  • শুকদেবের আশ্রম,
  • খানার পাড় দীঘি,
  • উলপুর জমিদার বাড়ি,
  • এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
  • হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর(কোটালিপাড়া)
  • ৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ),
  • রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
  • সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।
  • পাগল সেবাশ্রম, কদমবাড়ি।
  • গওহরডাঙ্গা মাদরাসা( টুঙ্গিপাড়া)
  • বাঘিয়ার বিল(টুঙ্গিপাড়া)।
  • হোগলাডাঙ্গা বড় মসজিদ।
  • ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি,
  • ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর।
  • সুকতাইল মঠবাড়ি
  • বাটিকামারী জমিদার বাড়ি
  • শেখ রাসেল শিশুপার্ক, টুুুঙ্গিপাড়া
  • শেখ কামাল স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জ
  • লেকপাড়, গোপালগঞ্জ শহর
  • ব্যাসপুর বাগের জামে মসজিদ।
  • ফেলারাম পাগলের সেবাশ্রম-পাগলের ভিটে ,কাটরবাড়ি, গোপালগঞ্জ
  • বলাকইড় পদ্মবিল,করপাড়া,গোপালগঞ্জ সদর
  • শ্রী শ্রী ফেলারাম পাগল সেবাশ্রম,কাটর বাড়ি,গোপালগঞ্জ সদর
  • শাবানা পার্ক,গোপালগঞ্জ সদর

গোপালগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব


তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


এক নজরে গোপালগঞ্জ

এক নজরে গোপালগঞ্জ

জেলা সৃষ্টির ইতিহাস

মধুমতির কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আজকের গোপালগঞ্জ শহর। প্রাচীনকালে এ এলাকাটি বঙ্গ অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। সুলতানী ও মোঘল যুগে এ অঞ্চল হিন্দু রাজারা শাসন করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের (১৭৯৩) সময় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত আর বাকী অংশ ছিল ঢাকা-জালালপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১৮০৭ সালে মুকসুদপুর থানা যশোর থেকে ফরিদপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়। ফরিদপুর জেলার একটি পরগনার নাম ছিল জালালপুর। গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া জালালপুর পরগনাভুক্ত ছিল। ১৮১২ সালে চান্দনা (মধুমতি) নদী যশোর ও ঢাকা-জালালপুর জেলার বিভক্ত রেখা হিসেবে নির্ধারিত হয়। গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর এলাকা ছিল বিশাল জলাভূমি। এখানে নৌ-ডাকাতির প্রকোপ ছিল বেশী। এজন্য বাকেরগঞ্জ থেকে বিভাজিত হয়ে ১৮৫৪ সালে মাদারীপুর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়।


১৮৭২ সালে মাদারীপুর মহকুমায় গোপালগঞ্জ নামক একটি থানা গঠিত হয়। ১৮৭৩ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। গোপালগঞ্জ এবং কোটালীপাড়া থানার সঙ্গে ফরিদপুর মহকুমার মুকসুদপুর থানাকে নবগঠিত গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


গোপালগঞ্জের প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব সুরেশ চন্দ্র সেন। ১৯১০ সালে মহকুমা প্রশাসকের বেঞ্চ কোর্ট ফৌজদারি কোর্টে উন্নীত হয়। ১৯২১ সালে গোপালগঞ্জ শহরের মানে উন্নীত হয়। আদমশুমারি অনুযায়ী তখন গোপালগঞ্জ শহরের লোকসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪ শত ৭৮ জন। ১৯২৫ সালে গোপালগঞ্জে সিভিল কোর্ট চালু হয়।


১৯৩৬ সালে মুকসুদপুর থানা বিভক্ত হয়ে কাশিয়ানী থানা গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে গোপালগঞ্জ সদর থানাকে ভেঙ্গে টুঙ্গিপাড়া নামক একটি থানা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব এ. এফ. এম. এহিয়া চৌধুরী। বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব কাজী মাহবুবুল আলম ২০২২ সালের ০৪ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

নামকরণ

কলকাতার জ্ঞানবাজার নিবাসী প্রীতিরাম দাস ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে অনুর্বর অসমতল মকিমপুর পরগনা (বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার আওতায়) জমিদারী তৎসময়ে ঊনিশ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। তার দ্বিতীয় পুত্র রাজচন্দ্র দাস ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল মাহিষ্য বংশীয় মেয়ে রাসমনিকে বিয়ে করেন। জমিদার রাজচন্দ্র তার স্ত্রী রানী রাসমনি ও তাঁর বিবাহিত তিন মেয়েকে রেখে ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুন মাত্র ৪৯ বৎসর বয়সে মারা যান। জমিদার রাজচন্দ্র ও রাসমনির কোন পুত্র সন্তান ছিলনা। চার কন্যার মধ্যে প্রথম কন্যা পদ্মমনির বিয়ে হয় রামচন্দ্রের সাথে। তাঁদের মহেন্দ্র নাথ, গনেশচন্দ্র, সৌদামিনী, সুভদ্রা, বলরাম, কালী এবং সতীনাথ নামে সাতটি সন্তান জন্ম হয়। প্রথম পুত্র মহেন্দ্র নাথ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। ফলে জীবিত বয়েজ্যেষ্ঠ পুত্র গনেশ জমিদার হন। খাটরা এস্টেটের প্রজারা রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খাটরা এস্টেটের রাজগঞ্জ বাজারের নাম বদল করে রানীর নাতি তথা গনেশের একমাত্র পুত্র নব গোপালের নামানুসারে রাখতে চান। নব গোপালের নামের "গোপাল " ও রাজগঞ্জের "গঞ্জ" এই মিলিয়ে গোপালগঞ্জ নামকরণ করা হয়।


ভৌগোলিক অবস্থান

অবস্থান

প্রায় ২২৫১' থেকে ২৩৫০' উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯০' থেকে ৯০১০' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ

আয়তন

১৪৮৯.৯২ বর্গ কিঃমিঃ

সীমানা

গোপালগঞ্জ জেলা ০৫ টি উপজেলা, ০৫ টি থানা, ০৪ টি পৌরসভা, ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ৬৫৩ টি মৌজা নিয়ে গঠিত। এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত । ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার দূরত্ব ১৩০ কি. মি. প্রায়।

সীমান্তবর্তী জেলাসমূহ

উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত ।

ভূপ্রকৃতি

সমূদ্র পৃষ্ঠ হতে গোপালগঞ্জ জেলার উচ্চতাঃ তুলনামুলক ভাবে উচু অংশ ২৫ থেকে ৩০ ফুট এবং নিচু অংশ ১৪ থেকে ১৬ ফুট উচ্চে অবস্থিত ।

মোট জমির পরিমাণঃ ৩৬৭১৬০.৫৬ একর

আবাদী জমির পরিমাণঃ ২৭৪০৪৮.৯৭ একর

প্রধান নদ-নদী

মধুমতি, বাঘিয়ার, ঘাঘর, পুরাতন কুমার, বিলরুট ক্যানেল, কালিগঙ্গা,টঙ্গীখাল, দিগনার, বাগদা, কুশিয়ারা, মধুপুর, শৈলদহ, ছন্দা।

জলবায়ু

বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা ২৫.৫C; বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান ১৮৮৫ মিলিমিটার

জীব বৈচিত্র

এখানকার নদনদীতে কৈ, শিং, মাগুর, চাপিলা, কাঁচকি, রুই, কাতলা, গনিয়া, কালিবাউশ, রায়েক, ঘেসোবাটা, পুটি, মলা, চেলা, বাঁশপাতা, আইর, টেংরা, বজুরী, রিটা, রোল, ঘাউরা, কাজলি, বাচা, সিলেন্দা, খলসা, কেচিখলসা, তপসে, শোল, গজার ও বাইন মাছের পাশাপাশি শুশুকের দেখা মেলে।


প্রশাসনিক তথ্য

জনসংখ্যা

১১,৭২,৪১৫ জন (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে)

শিক্ষার হার

৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)

সংসদীয় আসন সংখ্যা

০৩ টি


নির্বাচনী এলাকার/ সংসদীয় আসনের নাম

সাংসদের নাম

ফোন ও ই-মেইল

মন্তব্য (কোন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কি না/ সংসদীয় কোন স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কি না

২১৫ গোপালগঞ্জ -১

মুহাম্মদ ফারুক খান



২১৬ গোপালগঞ্জ -২

শেখ ফজলুল করিম সেলিম


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি

২১৭ গোপালগঞ্জ -৩

শেখ হাসিনা


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী


সিটি কর্পোরেশনের নাম

প্রযোজ্য নয়

উপজেলা

৫ টি


উপজেলার নাম

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম

ফোন ও ই-মেইল

গোপালগঞ্জ সদর

শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু

মোবাইল : ০১৭৪৯০৮২৯৯৪

ইমেইল : lutfor@yahoo.com

মুকসুদপুর

মোঃ কাবির মিয়া

মোবাইল : +8801711329415

ইমেইল : kabirmiah870@gmail.com

কাশিয়ানী

সুব্রত ঠাকুর

মোবাইল : ০১৭১৬৪৮২৬৯৩

কোটালীপাড়া

বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস

মোবাইল : 01727701066

ইমেইল : bkbiswas55555@gmail.com

টুঙ্গিপাড়া

মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস

মোবাইল : ০১৭১১০৬৬০৭১

ইমেইল : uzctungipara@lgd.gov.bd


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

০৪ টি

পৌরসভা

০৪ টি (গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, মুকসুদপুর)

ইউনিয়ন পরিষদ

৬৭ টি

আবাসন/ আশ্রয়ণ প্রকল্প

২২ টি , গুচ্ছগ্রাম-২৩ টি

আদর্শ গ্রাম

১৮ টি

স্কুলের সংখ্যা


প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা

৮৬২ টি

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা

২০৩ টি

কলেজের সংখ্যা

২৮ টি

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা

০১ টি

মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা

০১ টি

জেনারেল হাসপাতালের সংখ্যা

০১ টি

ইতিহাস ও সাহিত্য


মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি

১. গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ' জয় বাংলা পুকুর ' ৭১ এর বধ্যভূমি।

২. ভাটিয়াপাড়া সম্মুখসমর স্মৃতিসৌধ।

৩. ০৭ মার্চ চত্তর।

দর্শনীয় স্থান

১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স, টুঙ্গিপাড়া।

২. কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ী (০৮ এপ্রিল হিন্দু

সম্প্রদায়ের বার্ষিক বৃহত্তম জমায়েত হয়) ।

৩. কোটালীপাড়া উপজেলার ঊনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্তের পৈত্রিক ভিটা।

৪. গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ' জয় বাংলা পুকুর ' ৭১ এর বধ্যভূমি।

৬. টুঙ্গিপাড়া উপজেলাধীন বর্ণি বাওড়

৭. টুঙ্গিপাড়াস্থ বাগানবাড়ী (পাখির অভয়ারণ্য)।

৮. কোটালীপাড়া উপজেলাধীন হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়ার লাল শাপলার বিল।

৯. বলাকইড় পদ্মবিল।

১০. হিরণ্যকান্দি গ্রামের শতবর্ষী আম গাছ।

১১. উজানী ও বনগ্রাম জমিদার বাড়ী। 

বিশেষ উৎসব

নৌকা বাইচ, শুকান্ত মেলা, বারুনী স্নান উৎসব।

ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী

রাজবংশী, বর্মণ




গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ

মধুমতির কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলার সভ্যতা-সাংস্কৃতিক অবকাঠামো। প্রাচীনকালে এ এলাকাটি বঙ্গ অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। সুলতানী ও মোঘল যুগে এ অঞ্চল হিন্দু রাজারা শাসন করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের (১৭৯৩) সময় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত আর বাকী অংশ ছিল ঢাকা-জালালপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১৮০৭ সালে মুকসুদপুর থানা যশোর থেকে ফরিদপুর জেলার সাথে যুক্ত হয়। ফরিদপুর জেলার একটি পরগনার নাম ছিল জালালপুর। গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া জালালপুর পরগনাভুক্ত ছিল। ১৮১২ সালে চান্দনা (মধুমতি) নদী যশোর ও ঢাকা-জালালপুর জেলার বিভক্ত রেখা হিসেবে নির্ধারিত হয়। গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর এলাকা ছিল বিশাল জলাভূমি। এখানে নৌ-ডাকাতির প্রকোপ ছিল বেশী। এজন্য বাকেরগঞ্জ থেকে বিভাজিত হয়ে ১৮৫৪ সালে মাদারীপুর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৭২ সালে মাদারীপুর মহকুমায় গোপালগঞ্জ নামক একটি থানা গঠিত হয়। ১৮৭৩ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে বাকেরগঞ্জ জেলা থেকে ফরিদপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে মাদারীপুর মহকুমাকে ভেঙ্গে গোপালগঞ্জ মহকুমা গঠন করা হয়। গোপালগঞ্জ এবং কোটালীপাড়া থানার সঙ্গে ফরিদপুর মহকুমার মুকসুদপুর থানাকে নবগঠিত গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গোপালগঞ্জের প্রথম মহকুমা প্রশাসক ছিলেন জনাব সুরেশ চন্দ্র সেন। ১৯১০ সালে মহকুমা প্রশাসকের বেঞ্চ কোর্ট ফৌজদারি কোর্টে উন্নীত হয়। ১৯২১ সালে গোপালগঞ্জ শহরের মানে উন্নীত হয়। আদমশুমারি অনুযায়ী তখন গোপালগঞ্জ শহরের লোকসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪ শত ৭৮ জন মাত্র। ১৯২৫ সালে গোপালগঞ্জে সিভিল কোর্ট চালু হয়।

১৯৩৬ সালে মুকসুদপুর থানা বিভক্ত হয়ে কাশিয়ানী থানা গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালে গোপালগঞ্জ সদর থানাকে ভেঙ্গে টুঙ্গিপাড়া নামক একটি থানা গঠন করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলার প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব এ. এফ. এম. এহিয়া চৌধুরী।

বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা ০৫ টি উপজেলা, ০৫ টি থানা, ০৪ টি পৌরসভা, ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ৬৫৩ টি মৌজা নিয়ে গঠিত।

এ জেলার উত্তরে ফরিদপুর জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা, পূর্বে মাদারীপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে নড়াইল জেলা অবস্থিত ।

মানচিত্রে গোপালগঞ্জ


নদ-নদী

বিখ্যাত মধুমতি নদী
 
গোপালগঞ্জ জেলায় রয়েছে অসংখ্য  নদ-নদী। উল্লেখযোগ্য নদীসমূহ হলোঃ   
  • ১. মধুমতি
  • ২. বাঘিয়ার নদী
  • ৩. ঘাঘর
  • ৪. পুরাতন কুমার
  • ৫. বিলরুট ক্যানেল ( এটি কৃত্তিমভাবে তৈরি করা হয় ১৩১৭ বঙ্গাব্দ/১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ)
  • ৬. কালিগঙ্গা
  • ৭. টঙ্গীখাল
  • ৮. দিগনার
  • ৯. বাগদা
  • ১০. কুশিয়ারা
  • ১১. মধুপুর
  • ১২. শৈলদহ
  • ১৩. ছন্দা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
amarbangla
amarbangla
Our Telegram Group / Channel Join Now
Our Facebook Page Follow Now
amarbangla
daraz