বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ১২ Bangla Islamic Story 🌺 Alo 🌺 No- 12
বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ১২ |
বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ১২
আলো আর ভোর তো ওর বাবাকে জানিয়ে এসেছে এখন রাতে কি খাবে এটা সমস্যা হয়ে দাড়ালো। তাই এখন রান্না করতে হবে।
আলোঃঃ স্যার??
ভোরঃঃ কি?
আলোঃঃ চলুন রান্না করতে হবে।
ভোরঃঃ রান্না করতে হবে মানে?
আলোঃঃ আমরা আসবো তা তো বাবা জানতো না তাই রাতের খাবার নাই। এখন রান্না করে খেতে হবে আপনার আর আমার। তাই চলুন দুজন মিলে একসঙ্গে রান্না করি।
ভোরঃঃ আমি রান্না করব? Are you crazy??
আলোঃঃ হ্যাঁ আপনিই করবেন চলুন।
ভোরঃঃ দরকার হলে না খেয়ে থাকব তবুও এসব করব না। Get lost.
আলো বুঝতে পারছে সোজা কথায় কাজ হবে না তাই ভোরের লুঙ্গী ধরে বসলো...
আলোঃঃ যাবেন নাকি দিবো টান?
ভোরঃঃ ছাড়ুন বলছি। Shameless girl.
আলোঃঃ হুম আপনার জন্য আমি সব।((ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে))
ভোরঃঃ আমাকে এত বিরক্ত করেন কেন? ছাড়ুন এটা খুলে যাবে।
আলোঃঃ খুলে যাক। আপনার ইজ্জতের তো দাম নাই আপনার কাছে। নাকি দেখাতে চাচ্ছেন? ((মুচকি হেসে))
ভোরঃঃ Shut up stupid... চলুন। ((রাগে গজগজ করতে করতে))
আলোঃঃ উম্মাহ আমার সোনা বরটা। ((মুচকি হেসে))
ভোরঃঃ আর জীবনেও লুঙ্গী পড়ব না। দরকার পড়লে শর্টস পড়ে থাকবো। ((আলোর পিছন পিছন যাচ্ছে আর বলছে))
আলোঃঃ শুধু শর্টস?? আপনাকে কেমন দেখাবে একটু কল্পনা করে নি দাড়ান। ((দাড়িয়ে ভাবার মতো ভংগি নিয়ে))
ভোরঃঃ এবার কিন্তু আপনাকে তুলে এক আছাড় দিবো।
আলোঃঃ বললেই হয় আমাকে কোলে নিতে মন চাচ্ছে আপনার। আমি তো আপনারই বৌ। সো যখন খুশি কোলে নিতে পারেন আমি মাইন্ড করব না। ((লজ্জা পাওয়ার ভং ধরে))
ভোরঃঃ উফফ....
কিচেনে গিয়ে আলো ভোরকে বললো....
আলোঃঃ নিন এই পিয়াজ আর মরিচগুলো কাটুন।
ভোরঃঃ আমি পিয়াজ আর মরিচ কাটবো? Are you mad?
আলোঃঃ হুম আমি পাগল। নিন তাড়াতাড়ি কাটুন এতো কথা বলার সময় নাই। আর আপনিও বেশি জোরে কথা বলবেন না। বাবাকে অনেক কষ্টে ঘুমানোর জন্য রাজি করিয়েছি সো বাবা যেন না উঠে যায় আপনার গন্ডারমার্কা কন্ঠ শুনে। ((মুখ ভেংচি কেটে))
ভোরঃঃ আমার গন্ডার মার্কা কন্ঠ?? ((রাগী মুড নিয়ে))
আলোঃঃ এতো কথা বললে আজ আর খাওয়া হবে না। তাড়াতাড়ি কাটুন এগুলা।
ভোর অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাটতে শুরু করল কিন্তু কাটার আগেই আলো হাতটা ধরে ফেললো..
ভোরঃঃ What????
আলোঃঃ আপনার কাটতে হবে না। আপনার বৌ'টা এত খারাপ না।
ভোরঃঃ ওহ। আমি তাহলে রুমে যাই।
আলোঃঃ কেন রুমে যাবেন কেন?
ভোরঃঃ তো কি করব এখানে থেকে।
আলোঃঃ আমি যত সময় এই রান্না করব মানে কিচেনে থাকব তত সময় আপনি আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে থাকবেন এটাই আপনার কাজ।
((মুচকও হাসি দিয়ে))
ভোরঃঃ পারব না। আমি গেলাম।
বলেই ভোর হাটা দিচ্ছিলো আর আলো তাড়াতাড়ি করে ভোরের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে....
আলোঃঃ স্যার ভুলে যাচ্ছেন কেন আপনি লুঙ্গী পড়া।
ভোরঃঃ উফফ ভোর তুই কেনো এই মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়েছিলি কেন কেন কেন??
আলোঃঃ সে রাতে তো আমি কত চেষ্টা করেও নিজেকে আপনার বাহুডোর থেকে মুক্ত করতে পারিনি আর আজ যখন নিজেই আপনার বাহুডোরে থাকতে চাচ্ছি সেখানে আপনার এতো সমস্যা কোথা থেকে আসে?
ভোর আর কিছু বলতে পারল না। আলোকে একটানে পিছন ঘুরিয়ে আলোর কোমড় জড়িয়ে ধরলো অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও। আলোও আর কথা না বাড়িয়ে পিয়াজ মরিচ কাটা শুরু করল।
বার বার আলোর চুলগুলো ভোরের মুখে আছড়ে পড়ছে। ভোরের বিরক্তি লাগলো....
ভোরঃঃ আপনার চুলগুলো একটু বাঁধুন তো বার বার মুখে উপর পড়ছে এসে।
আলোঃঃ আমার হাত আটকা দেখছেন না? আপনি বেঁধে দিন সমস্যা হলে।
ভোরঃঃ আমি পারি না। থাক এভাবে।
আলো কিছু বললো না। আলো খিচুড়ি রান্না করতে ব্যস্ত। ভোরের ভুনা খিচুড়ি খুবই প্রিয়।
আলোর অবাধ্য চুলগুলো ভোর হাত দিয়ে সরাতে সরাতে চুলগুলোর ঘ্রাণ নিতে শুরু করল আর নেশায় পড়ে গেলো।আস্তে আস্তে চুলের ভিতর নাক গুঁজে দিলো।
ভোরের অজান্তেই ভোরের হাত আলোর পেটে চলে গেলো আলোর কামিজের ভিতর দিয়ে। আলো ভোরের হাতের স্পর্শ পেটে পেয়ে ফ্রিজড হয়ে গেলো। নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ফেললো। আর ভোর বার বার আলোর পেটে স্লাইড করছে।
এমনিতেই আলো উইক ভোরের প্রতি তার উপর এসব করলে তো মেয়েটা নিজেকে ধরে রাখতে পারবে না। আলো নিজের চোখ মুখ শক্ত করে নিজের হাত দিয়ে কামিজ শক্ত করে ধরে রাখল। ভোরের স্পর্শ যে আর সহ্য হচ্ছে না।
আর ভোর আলোর ঘাড়েও নাক গুঁজে দিলো।
ব্যাপারটা খুব গভীরে চলে যাচ্ছে তাই আলো অনেক কষ্টে বললো....
আলোঃঃ স্যার..((আস্তে করে))
ভোরঃঃ -----------
আলোঃঃ স্যাররর ((একটু জোরে))
ভোরঃঃ হুমমম...((কোনো হুস ছাড়া জবাব))
আলোঃঃ আমি রান্না করছি...
ভোরঃঃ হুমম....((একই ভাবে))
আলোঃঃ আমি রান্না করছি স্যার। আদর করতে হলে রুমে নিয়ে কইরেন। ((জোরে বললো))
আলোর কথায় ভোরের হুস ফেরার সাথে সাথে আলোকে ছেড়ে দিয়ে দূরে দাড়ালো।
আলোঃঃ ছেড়ে দিলেন যে? আদর শেষ?
ভোরঃঃ রান্না হয়েছে আপনার??
আলোঃঃ হুম। আপনি টেবিলে বসুন আমি আসছি।
ভোরঃঃ ওকে।
ভোর নিজেই নিজের সাথে বলছে.... তুই এমন একটা কাজ করলি কীভাবে?? মেয়েটার প্রতি এতো Attractive হওয়ার কি আছে? এইভাবে হারানো কি আছে? তবে চুলের আর মেয়ের শরীর smell টা জোশ। ছি: ছি: কি বলিস এগুলা? মেয়েটার থেকে দূরে থাক। ডিভোর্স তো দিয়েই দিবি ফাও এতো কাছে যাবার কোনো মানে আছে? কিন্তু মেয়েটা তো শুধু কাছে আসে আর হুটহাট লিপকিস করে। আমি যে একটা পুরুষ মেয়েটা বোঝে না? শুধু ধান্দাতে থাকে কখন কোলে উঠে বসবে! কখন জড়িয়ে ধরবে! কখন ঠাসঠাস চুমু দিবে! আর এখন তো আর এক ধান্দা বের করছে কখন এই লুঙ্গীটা ধরে টানটানি করবে? আর জীবনেও লুঙ্গী তোকে পড়বো না। তুই সব নষ্টের মূল। না তোকে পড়তাম না মেয়েটা এত কাছে যেতাম? ((রাগী ভাবনা))
এদিকে আলো খাবার নিয়ে এসেছে। এরপর দুজন মিলে খেতে বসলো। ভোর খাওয়া শুরু করল....
আলোঃ স্যার কেমন হয়েছে??
ভোরঃঃ হুম ভালো।
আলো মুচকি হেসে খাওয়া শুরু করল।
ভোর খাওয়া শেষ করে বেড রুমে চলে গেলো।
আরো গল্প পড়তে ভিজিট করুনঃ
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url