বাংলা রোমান্টিক গল্প ❤️ তোমার নামে ❤️ পর্ব - ০২ Bangla Romantic Story ❤️ Tomar Nemee No- 02
বাংলা রোমান্টিক গল্প ❤️ তোমার নামে ❤️ পর্ব - ০২ |
বাংলা রোমান্টিক গল্প ❤️ তোমার নামে ❤️ পর্ব - ০২
প্রায় একঘন্টা ধরে নিজের কক্ষে থম মেরে বসে আছে স্নিগ্ধতা।তার দুরুদুরু বুকের কাঁপন কিছুতেই থামছে না।হাত,পা কাঁপছে বাতাসের বেগে।নৈঃশব্দে চলছে নিঃশ্বাসের গতি।হাতের মুঠো খুলে ইবরাযের দেওয়া সেই চিরকুট দেখে প্রগাঢ় দৃষ্টিতে স্নিগ্ধতা।চায়ের কাপ দেওয়ার সময় তার হাতে চিরকুট গুঁজে দেয় ইবরায।ইবরাযের হাতের ছোঁয়ায় অনুরণিত হয় স্নিগ্ধতার অস্পর্শিত নারীসত্তা।
চিরকুটটি আবার মুঠো বন্ধি করে স্নিগ্ধতা।তার মনে হলো সে এইটা পড়ে দেখবে না।কারণ দেখলেই তো এর প্রতি থাকা তার এই যে কৌতূহল তা চলে যাবে।এই যে তার ভেতর একটা আগ্রহ তা নিঃশেষ হয়ে যাবে।স্নিগ্ধতা বুকের সাথে জড়িয়ে রাখলো সেই হাত ভরা চিরকুট।কিন্তু ক্ষণকাল পর তার মনে হলো চিরকুটটা তার দেখা উচিত।স্নিগ্ধতার চোখের পাতা কাঁপছে।ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে নিঃশ্বাসের প্রগাঢ়তা।অন্ত:পুরের কার্ণিশ বেয়ে চুইয়ে পড়ছে প্রেমে আচ্ছন্ন প্রেমিকার প্রেমাগ্নি।স্নিগ্ধতা ধীরে ধীরে অবিরত অস্থিরতায় চিরকুটটি তার দু'চোখের মায়ায় মেলে ধরে।টানা টানা অক্ষরে তাতে লেখা---
"তোমার নামে সান্ধ্য,সকাল নামিয়েছে আজ বর্ষা
তোমার নামে ভিজবো বলে ধরণী সাজিয়েছে পসরা,
তোমার নামে দিঘীর জলে ফুটেছে আজ পদ্ম
তোমার নামে মেঘের আড়ালে কিরণ ছড়িয়েছে চন্দ্র।"
স্নিগ্ধতা,
নামের মতোই স্নিগ্ধ তুমি।আমার জীবনে বর্ষণ রাতের প্রথম পরশ তুমি।তপ্ত হৃদয়ের এক পশলা বৃষ্টি তুমি।আমার অতন্দ্রিত নিশীথের চাঁদ জোছনা তুমি।তোমার ডাগর আঁখি কেড়েছে আমার দিন রাত্রি।আমি হাজারও তারার মাঝে খুঁজে বেড়ায় তোমার ওই মুক্ত ঝরা হাসি।
শ্যামেশ্বরী,
নামবে কী প্রেমের বর্ষণ হয়ে আমার খরা হৃদয়ের প্রেমানলে?
স্নিগ্ধতার বুকের গহীনে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।অতলস্পর্শী প্রেম সাগরে একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে সে।তার চোখের উজ্জ্বলতা ক্রমশ হ্রাস করছে পড়ন্ত বিকেলের সেই সূর্যাভা।
শ্যামেশ্বরী।স্নিগ্ধতার বেশ লাগলো শব্দটা।সে বার কয়েক তা পড়লো।স্নিগ্ধতার হৃদপিন্ড যেনো বেগতিক হারে তার স্পন্দন বাড়াতে থাকে।তার মনে হলো কেউ যেনো তার শ্বাস আটকে দিচ্ছে।কেউ ডেকে বলছে,
"এ পরাণে চাহিয়া,ও পরাণে বাঁধিয়া কেমনে ভুলিব তোমারে?
তোমারই চরণে অর্পিত ফুলে বাঁধিব তা প্রানেরও ডোরে।
সুখে তুমি,দুঃখে তুমি,দিবসও রজনী আমি তোমারেই ভেবে মরি,
তোমারই কারণে,নিজেরই অগোচরে সকলই যন্ত্রণা ভুলি।"
,
,
,
হা হা করে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে ইবরায।সামনে বসা সানাফ বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তার মাথাতে উসকে উঠা বিরক্তি সে প্রকাশ করলো না।উল্লাসিত হেসে বক্র গলায় বললো ইবরায---
"মেয়েটা যে চরম লেবেলের গাধি তা জানতাম না আমি।নির্ঘাত চিঠিটা পড়ে এতক্ষণে আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।"
সানাফ শান্ত গলায় বললো---
"এমনটা করা তোর উচিত হয় নি।স্নিগ্ধতা অনেক সহজ সরল একটা মেয়ে।কেন তোর আর খেয়ার মাঝখানে ওকে পিষে যাচ্ছিস?
ইবরায হাসি থামিয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায়।ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো--
"ওই খেয়াতরীকে আমি ছেড়ে দিবো ভেবেছিস?দুই বছর!সাতশত ত্রিশ দিন,সতেরো হাজার পাঁচশত ত্রিশ ঘন্টা,দশ লক্ষ একান্ন হাজার দুইশত মিনিট,ছয় কোটি ত্রিশ লক্ষ বাহাত্তর হাজার সেকেন্ড ব্যয় করেছি আমি ওর পেছনে।আর আমাকে ছেড়ে আমারই প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে হাত মিলিয়েছে ও।ওকে আমি এতো সহজে ছাড়ছি না।বিয়ে তো ওকে আমাকেই করতে হবে।"
সানাফ প্রচন্ড বিরক্ত নিয়ে বললো--
"আর স্নিগ্ধতার কী হবে?
ফিচেল হেসে ক্ষীণ গলায় বললো ইবরায---
"জয়নালের সাথে বিয়ে দিবো ওর।বেচারা বউ মরার পর থেকে ঠিক মতো রাতে ঘুমাতে পারছে না।"
ঠোঁট দুটো হালকা চেপে ধরে নাকের পাটা ফুলায় সানাফ।প্রাণপ্রিয় বন্ধুর এমন গর্হিত কাজে অসন্তুষ্ট সে।কিন্তু নিরুপায়। সানাফের অন্ত:পুরের সেই প্রাণেশ্বরীকে পাওয়ার এর থেকে সুবর্ণ সুযোগ আর পাবে না সে।তাই বাধ্য হয়ে ইবরাযের এই নাটকে অংশ নিয়েছে সানাফ।
চট করেই ইবরায বলে উঠে---
"রোমান কই রে?
বেখেয়ালি সুরে সানাফ বললো--
"বাসায় মে বি।"
ফচফচ করে হেসে উঠে ইবরায।চোখ বাঁকিয়ে তাকায় সানাফ।সানাফের চাহনিতে দমে যায় ইবরাযের হাসি।সরস গলায় বললো---
"রোমানের কী কপাল বল!বিয়ের আগেই শশুর বাড়ির আদর খাচ্ছে।সাথে হবু বউয়ের ঢেউ উপচে পড়া আদর ফ্রি।"
আবারও শব্দ করে হেসে উঠে ইবরায।সানাফ নির্লিপ্ত।তার বোনের পাগলামিতেই তার বাবা রোমানের সাথে একরকম জোর করেই মেঘার এংগেজমেন্ট করায়।মেঘার কথাতেই রোমানকে তার মাস্টার্স কমপ্লিট করে একটা ভালো জব খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।এক্সাম শেষ করে গত তিনমাস ধরে গরু খোঁজার মতো খুঁজছে একটা জব রোমান।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতে একটা কেরানীর চাকরিও সোনার হরিণ থেকে কম নয়।
চায়ের দোকানে বসে রাতের শেষ আলাপচারিতায় মশগুল দুই বন্ধু।পাড়ার মোড়ের এই চায়ের দোকান তার স্পেশাল রঙ চায়ের জন্য বিখ্যাত।নিম্ন আয় থেকে উচ্চ আয়ের এলাকার অনেক প্রভাবশালী মানুষও কাজর মিয়ার রঙ চায়ের একনিষ্ঠ প্রেমিক।চায়ের কাপে চুমুক দিতেই ইবরাযের চোখ পড়ে সতেরো আঠারো বছরের এক ছেলের দিকে।সাথে একটি মেয়েকেও দেখতে পায় সে।বেঞ্চির উপর চায়ের কাপ রেখে ঠোঁট গোল করে তার মাঝে বাম হাতের তর্জনী আর শাহাদাত আঙুলের মিলবন্ধন ঢুকিয়ে শিষ বাজায়।আচমকা ইবরাযের এই কাজে চমকিত হয় সানাফ।পেছন ফিরতেই ছেলে আর মেয়েটাকে দেখতে পায়।ছেলেটাকে ইশারায় ডাকে ইবরায।নিয়নের বাতির আধো আলোতে মেয়েটার চেহারা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।সাদা রঙের কামিজ হওয়াতে তা আবছা আলোতেও পরিস্ফুট।মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে রাখে।ছেলেটি অতি সন্তর্পনে হাতটা নামিয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে।দোকানের সামনে আসতেই সেখানের একশত ওয়াটের হলুদাভ বাতির আলোয় ছেলেটার চেহারা স্পষ্ট দেখতে পায় ইবরায।ফর্সা রঙের গোল আদলের মুখের ছেলেটির তীক্ষ্ম নাকের উপর মোটা ফ্রেমের হাই পাওয়ারের চশমা।ঢলঢলে একটা শার্ট।গলার দুই পাশের হাড় বলে দিচ্ছে অতিরিক্ত মাংসের খুবই অভাব তার শরীরে।ইবরায কন্ঠ শক্ত করে বললো---
"নাম কী?
ছেলেটি সাবলীল ভাষায় উত্তর করে---
"নির্ভয়।"
"নাইস নেম।"
মাথাটা হালকা বাঁকিয়ে ছেলেটার পাশ কাটিয়ে আধো আলোতে দাঁড়ানো মেয়েটিকে দেখে ইবরায।বললো--
"মেয়েটি কে?
"আমার বোন।"
"নাম কী?
"ছেলেটি তার বোনের দিকে তাকায়।নম্র গলায় বললো---
"নহর।"
"কোন ক্লাস?
"আমার ভাগ্নে ক্লাস টুতে পড়ে।"
হু হা করে হেসে উঠে সানাফ।ঠোঁট চিপে হাসলেন কাজর মিয়া।ইবরাযের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে।ছেলেটি রুদ্ধ গলায় বললো---
"আমরা এই এলাকায় নতুন এসেছি।আমার বোন আমাদের সাথেই থাকে।আমার বাবা এখানের মাধ্যমিক স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক।দুই বছর আগে আমার বোনের স্বামী মারা যায়।তাই তাকে তার শশুর বাড়ির লোক বাড়ি থেকে বের করে দেয়।তখন থেকে সে আমাদের সাথেই থাকে।আমার বোন ভালো গান করে,ছবিও আঁকে।তাই এখানকার স্কুলে প্রতি শুক্র,শনি সে দুই ঘন্টার একটা ক্লাস নেয়।কিন্তু যাওয়ার পথে স্কুলের গলির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলেরা আমার বোনকে টিজ করে।আমি প্রতিবাদ করি।তারা বলে,আমার বোন বিবাহিত।নিশ্চয়ই এখন তার স্বামীর আদরের প্রয়োজন।তারা সেই শূন্যতা পূরণ করতে চায়।তারা আমার গায়েও হাত তুলেছে।ভাই হয়ে বোনের অপমান তো আর সহ্য করতে পারি না।শুনেছি ছেলেগুলো এই এলাকার পার্টি অফিসের লোক।তাদের নেতা নাকি ইবতেহাজ নামে একজন।তার ক্ষমতার আড়ালেই নাকি তারা এইসব করে বেড়ায়।শুনেছি মি.ইবতেহাজ নাকি বিবাহিত।আপনি কী তার ঠিকানাটা জানেন? একটা প্রশ্ন করতাম তাকে।যদি তার স্ত্রীর সাথে কেউ এমন আচরণ করতো তাহলে তিনি কী করতেন?
ছেলেটির অসীম সাহসের সাথে বলা অনর্গল কথায় উঠে দাঁড়ায় ইবরায।রাগে তার মস্তিষ্কের নিউরণ গুলো ছিঁড়ে যাচ্ছে মনে হয়।তার ভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে এইসব করার খেসারত তো ওদের দিতেই হবে।
নির্বিঘ্ন গলায় বললো ইবরায---
"ওকে বাসায় যাও তুমি।আর তোমার বোনের কাছে ইবতেহাজের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি।তুমি যা শুনেছো তা ভুল।মি ইবতেহাজ মাহাদী মোটেও এমন লোক নয়।হি ইজ লাইক আ এঞ্জেল।কাল থেকে তোমার বোনকে কেউ ডিস্টার্ব করবে না।"
নির্ভয় কৃতজ্ঞতার সুরে বললো---
"ধন্যবাদ।"
স্মিত হাসলো ইবরায।সরব গলায় বললো---
"তোমার নামটা কে রেখেছে?
"আমার বোন।"
ইবরায তার পুরু ঠোঁট জোড়া প্রসারিত করে বললো----
"এর চেয়ে পার্ফেক্ট নাম তোমার জন্য আর হতো না।তোমার বোনকে বলো আমার বিয়েতে সে যেনো অবশ্যই আসে।আমি খুশি হবো।ভালো থেকো।"
নির্ভয় সানন্দে সেই দাওয়াত গ্রহণ করে।তার ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠে বিশ্বাসের হাসি।
,
,
,
উদোম গায়ে মুদিত চোখে বিছানায় শুয়ে আছে রোমান।জানালার ফাঁক গলিয়ে অর্ধচন্দ্রের রুপালি আভা তার চোখের পাতায় একে যাচ্ছে নিদ্রা পরীর ছবি।কিন্তু ঘুম আসছে না রোমানের।তার মুদিত দুই চোখে বারংবার ভেসে উঠছে স্নিগ্ধতার ওই দুই মায়াবী চোখ।সাথে তার ঘন অক্ষিপল্লব আর কানের কাছের সেই ছোট্ট তিল।এর আগেও স্নিগ্ধতাকে অনেকবার দেখেছে রোমান।কিন্তু সাহস করে এতো কাছ থেকে কখনো দেখা হয়নি মেয়েটিকে।স্নিগ্ধতার ওই শ্যাম রঙে কিছু একটা পেয়েছে রোমান।
চকিতে নিজের বুকে আর্দ্র স্পর্শ পেয়ে ফট করে চোখ খুলে রোমান।বিচলিত হলো না সে।তার বুক জুড়ে চলছে চুমুর বর্ষণ।অতি স্বাভাবিকভাবে মেঘাকে থমকে দেয় রোমান।এতে কিছুটা রুষ্ট হয় মেঘা।উষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকে সে।রোমান পাশে পড়ে থাকা তার টিশার্টটা গায়ে গলিয়ে নেয়।রোমানের থমথমে ভাবাবেগের কারণ জানতে সহিঞ্চু গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে মেঘা---
"কী হয়েছে তোমার?
রোমান বিতৃষ্ণা গলায় বললো---
"কিছু না।
তোমাকে না বলেছি এতো রাত করে আমার ঘরে আসতে না।"
মেঘা প্রশ্বস্ত চোখে তাকিয়ে তীর্যক গলায় বললো--
"তুমি বললে আমাকে শুনতে হবে এমন কোনো কথা নেই।আর এতো রাত করে তো আমি নতুন আসি নি।কত রাত আমরা একসাথেও কাটিয়েছি।"
ভ্রু বাঁকায় রোমান।থমথমে গলায় বললো---
"এখন যাও।ভালো লাগছে না আমার।"
মেঘা ঠোঁট গুঁজ করে তীক্ষ্ম গলায় বললো---
"কয়েকদিন ধরেই তুমি উইয়ার্ড বিহেভ করছো।কেন বলো তো?তুমি কী আমাকে বিয়ে করতে চাইছো না?
রোমান নিজের ভাগ্যের উপর হাসলো।সত্যিই যদি তাই হতো!
নির্বিকার গলায় রোমান বলে উঠে---
"এংগেজমেন্টটা যেভাবে হয়েছে বিয়েটাও সেভাবে হবে।চিন্তা করো না।তোমার কসাই বাপ তো আমাকে এমনে এমনে জামাই আদর করছে না।তার মেয়ে একটা খেলার পুতুল চায়।আর তিনি অবশ্যই তাই তাকে দিবে।"
বিছানায় হাঁটু ভেঙে বসা মেঘা দড়াম করে নিচে নেমে দাঁড়ায়।ক্ষোভ নিয়ে বললো---
"কী বলতে চাও তুমি?আমাকে তোমার কী মনে হয়?
সত্যি করে বলো তো কী হয়েছে তোমার?নাকি নতুন পাখিতে নজর পড়েছে!
রোমান ভাবলেশহীন ভাবে তাকালো।স্নিগ্ধতাকে দেখে আসার পর তার সত্যিই আক্ষেপ হচ্ছে।সেদিন মেঘার কথা না শুনলেই পারতো।তা নাহলে তাকে আজ এই অবস্থায় পড়তে হতো না।ভাগ্যের কাছে জিম্মি হতে হতো না।
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
❤️ তোমার নামে ❤️
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url