amarbangla

বাংলা গল্প 💠 সেই রাতের গল্প 💠 পর্ব - ৭ Bangla Story Say Rater Golpo No-07

বাংলা গল্প 💠 সেই রাতের গল্প 💠 পর্ব - ৭
বাংলা গল্প 💠 সেই রাতের গল্প 💠 পর্ব - ৭ 


বাংলা গল্প 💠 সেই রাতের গল্প 💠 পর্ব - ৭ 

"বাবা তুমি আমাকে হত‍্যা করার জন‍্যে কিডন‍্যাপ করছো?

'চৈতির কথাটি শেষ হওয়ার আগেই ওর বাবা একটি গুলি করে। যেটা চৈতির হাত ছেদ করে চলে যায়।

'ছিইইই বাবা ছিইই! তোমাকে দেখে আমি সত্যি ঘৃনা হচ্ছে নিজের মেয়েকে কেউ এইভাবে মারতে পারে।

'কিসের মেয়ে' কার মেয়ে'

'কেনো আমি তোমার মেয়ে' চৈতি আমাকে চিনতে পাচ্ছোনা বুঝি।

'তুই আমার মেয়েনা।

'মানে।

'হাহা! হাহা! হাহা! হাহহা! আহহা!

'হাসতেছো কেনো বাবা তুমি।

'শোন তোকে আমি ছোট্ট থাকায় রাস্তার পাশে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। 

'আমি বিশ্বাস করিনা।

'তোর বিশ্বাস না হলে আমার কিচ্ছু করার নেই। কুড়িয়ে পাওয়ার পরে ভেবেছিলাম তোকে অনেক বড় সন্ত্রাসী বানাবো' কিন্তু তুই আমার সঙ্গেই বিশ্বাস ঘাতকতা করলি।

'আমি ছোট্ট থেকে তোমাকেই বাবা বলে জেনেছি' বাকিটা জীবন বাবা বলেই জানবো। বিশ্বাস করো বাবা এই সব খুন খারাপি আমার আর ভালো লাগেনা। আমি সুন্দর ভাবে জীবন গড়াতে চাই।

'হাহাহা! যেই মানুষটি একবার এই লাইনে আসে "সে কখনোই আর ভালো পথে যেতে পারেনা। ঠিক তুইও পারবিনা কখনো।

'জানো বাবা আমার সন্তান আছে একটি' দেখতে 

বেশ সুন্দর?

'এই সব শোনার জন‍্যে তোকে এখানে নিয়ে আসিনি। বল আমার সঙ্গে কেনো বিশ্বাস ঘাতকতা করলি।

'কখন করলাম এমনটা শুনি।

'তুই আমাকে কিচ্ছু না বলে কেনো আত্তগোপনে চলে গেলি? জানিস আমার ব‍্যবসায় কতোটা লস হয়েছে তোর জন‍্যে।

'আমি ভালো হতে চেয়েছি। জানো তোমার লোকজন আমাকে এখানে নিয়ে না আসলে আজকে আমার বিয়ে হতো।

'কিইইইই।

'হ‍্যাঁ আমার বিয়ে হতো। 

'বাহ! বিয়ের আগেই জা/র/জ সন্তান নিয়েছিস। এইটা তোর কাছে আশা করিনাই।

'বাবা প্লিজজ আমাকে যেতে দাও। আমার সন্তান কান্না করতেছে মনে হয়।

'হ‍্যা যাবি কিন্তু লাশ হয়ে। 

'প্লিজজজ বাবা আমাকে মে/রোনা। আমি মারা গেলে আমার সন্তান স্বামীর কি হবে বলো তুমি।

'তোরে একটি কাজ দিবো' সেই কাজটি যদি তুই সম্পূর্ণ করতে পারিশ তাহলেই মুক্তি পাবি।

'কি কাজ সেইটা বলো।

'তোকে একজনকে মে/রে ফেলতে হবে। যদি মারতে পারিশ তাহলেই তুই মুক্তি পাবি।

'প্লিজজ মেরে ফেলার কথা বলিওনা। কারন এই সব আর ভালো লাগেনা। 

'তাহলে এখন তোকে শেষ করে। "তোর সন্তান কে শেষ করে দিবো আমরা।

'বাবা তুমি এমন কেনো। একটুও কি দয়া মায়া নেই তোমার মনে হ‍্যাঁ।

'নাহ। 

'তুমি তো এমন ছিলেনা।

'এই বাজে কথা বন্ধ কর। আর শোন তোকে কি 

করতে হবে।

'আমি কাউকে মারতে পারবোনা।

'ঠিক আছে আমার লোকজন তোর সেই জা/র/জ সন্তান কেই তাহলে মেরে ফেলুক।

'কথাটি শুনেই চৈতি তার পালিতো বাবার পা ধরে কান্না করে করে সন্তানের জীবন ভিক্ষা চায়'

'শোন এটাই শেষ কাজ তোর জীবনের। এর পরবর্তীতে তোকে আমি কোন ভাবেই বিরক্ত করবোনা কথা দিলাম। কাজ শেষে তুই তোর মতো জীবন গড়াতে পারবি।

'বাবার মুখে এমন কথা শুনে "নিজের সুখের জন‍্যে চৈতি রাজি হয়ে যায় কাজে?

'বলো কাকে মারতে হবে।

'তোর শাশুড়িকে মে/রে ফেলতে হবে। বলতে হাসিবের মাকে মারতে হবে।

'কি বলো এই সব।

'হ‍্যাঁ এটাই করতে হবে তোকে। এক সপ্তাহের ভিতরে।

'নাহ এইটা কখনোই সম্ভব না। উনি আমার শাশুড়ি মা।অনেক ভালো একজন মানুষ!

'এতো কিছু জানতে চাইনা আমি। হ‍্যাঁ / না?

'আগে বলো হাসিবের মায়ের সঙ্গে তোমার কিসের শত্রুতা আছে।

'এতো কিছু জানার দরকার নেই তোর। 

'প্লিজজ বাবা বলো।

'সময় হলে সব জানতে পারবি তুই। এখন যেটা করতে বলছি সেইটা কর ওকে।

'নাহ এইটা করতে পারবোনা আমি। 

'কেনো?

'কারন উনি আমার স্বামীর-মা? ওনাকে মেরে নিজের সংসার নিজে ভাংতে পারবোনা আমি।

'ঠিক তখনি চৈতির পালিত বাবা বলে উঠলো'

'তুই যে হাসিবের বাবা আজাহার চৌধুরী কে মেরে ফেলেছিস এইটা যদি হাসিব জানে তাহলে কি সংসার হবে। 

'মান? আমি কবে ওর বাবা-কে মারলাম?

'কয়েক বছর আগে যেই ২০ জনকে হত‍্যা করেছিস তার মধ‍্যে একজন হাসিবের বাবাও ছিলো।

'কিইইইইই!

'হ‍্যাঁ।

'নাহ! এইটা আমি বিশ্বাস করিনা। আমি কখনোই ওর বাবাকে হত‍্যা করতে পারিনা।

'সব কিছুর প্রমান আছে আমার কাছে। এখন যদি তুই হাসিবের মাকে হত্যা না করিশ তাহলে সব কিছুই ওরে বলে দিবো।

'বাবা তুমি কি আমাকে ব্লাকমেইল করতেছো।

'হ‍্যাঁ সেটাও ভাবতে পারিশ। 

'ঠিক আছে ওর মাকে হত‍্যা করবো" কিন্তু ওর মায়ের দোশ কাহিনী টা কি। সেইটা আগে বলো আমাকে।

'ওর মা ছোট্ট বাচ্ছাদের কিডনি' চোখ' ব্লাড এই গুলা ডাক্তারের সাহায্যে অপারেশনের মাধ‍্যমে বের করে নিয়ে আন‍্য দেশে বিক্রি করে। 

'কথাটি শুনেই চৈতি কেমন জানি আকাশ থেকে মাঠিতে পড়ে গেলো।

'কি বলো বাবা তুমি। 

'হ‍্যা সব সত‍্যি?

'আর একটি কথা তোর এই বাবা কখনো ভালো মানুষ কে পৃথিবীর থেকে সরিয়ে দেয়না। 

'আমার বিশ্বাস হয়না' তুমি মনে হয় কোথাও ভূল করতেছো। ওর মা ভিশন সহজ সরল একটি মানুষ।

'বেশি দেরি করিশনা' এমনটাও হতে পারে তোর সন্তানের জীবন বিপদের মধ‍্যে আছে।

'ওরা কখনোই ওদের নাতির সঙ্গে এমনটা করতে পারেনা। যতোই হোক ওটা ওনাদের নাতি।

'বেশি বুঝা আমি পছন্দ করিনা। আজ বাসায় চলে যা আমার লোকদের সঙ্গে কাল আবার কথা হবে। 

'নাহ আমি বাসায় যাবোনা। 

'তাহলে কোথায় যাবি।

'জানিনা। 

'ঠাসসস! ঠাসস! ঠাসস আর একটি কথা বললে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা বলে দিলাম। এই তোরা এর হাত-পা বেধে বাসায় নিয়ে যা?

'চৈতির বাবার কথা মতো আবার তারা চৈতিকে হাত-পা বেধে বাসায় নিয়ে যায়'

-

-

-

-

'এই দিকে উর্মি হাসিবকে বলে'

'শোন আমি বসায় বলেছি যতো তারা তারি সম্ভব আমাদের বিয়ের ব‍্যবস্তা করার কথা। ওরা বলেছে এই শুক্রবার আমাদের বিয়েটা দিবে।

'তাহলে তো ভালোই হলো?

'হ‍্যাঁ তারা তারি হলে পরবর্তীতে চৈতি আসলে আর কোন সমস্যা করতে পারবেনা। কারন তখন আমরা স্বামী স্ত্রী হবো।

'হুমম গুড আইডিয়া। 

'হাসিব তোমার বাচ্ছাটি কোথায় দেখতেছিনা।

'আমার মা ওর ব‍্যবস্থা করছে। তোমাকে এই সব নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।

'তাহলে আরো ভালো।

_____________________

'এই ভাবে ২টি দিন কেটে যাওয়ার পরে চৈতির বাবা চৈতিকে এসে জানায়। 

'শোন চৈতি হাসিবের বিয়ে শুক্রবার। ওই দিনেই ওর মাকে মেরে ফেলতে হবে। 

'কিইইইই! কার বিয়ে?

'হাসিবের বিয়ে উর্মি নামের একটি মেয়ের সঙ্গে।

'আমি বিশ্বাস করিনা।

'তুই তো কিচ্ছুই বিশ্বাস করিশা। যখন সত্যিটা নিজের চোখে দেখবি সেই দিন ঠিকেই বুঝবি।

'হাসিব আমার সঙ্গে এমনটা করতে পারেনা বাবা? 

'সেটা শুক্রবারেই দেখতে পাবি' রেডি হয়ে নি সামনেই শুক্রবার। 

'কথাটি বলেই চৈতির বাবা চলে যায়' আর চৈতি ভাবতে থাকে কি হচ্ছে এই গুলা তার সঙ্গে। 

'এর পরে এই ভাবে আরো ২দিন যাওয়ার পরে সেই কাংক্ষিত শুক্রবার চলে আসে। আজ চৈতির অনেক মিশন তাই নিজেকে প্রস্তুত করে নিচ্ছে। অন‍্য দিকে হাসিব উর্মি ও বেশ খুশি কারন তাদের আজ বিয়ে।

'তো সারাদিন প্রস্তুতি নেয়ার পরে চৈতি যখন রাতে গোপন রাস্তা দিয়ে বিয়ে বাড়িতে ঢুকতে ছিলো " এমন সময় দেখে সেই রাস্তায় তার সন্তানকে****?

💠 সেই রাতের গল্প 💠 আরো পর্ব পড়ুন ঃ 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
amarbangla
amarbangla
Our Telegram Group / Channel Join Now
Our Facebook Page Follow Now
amarbangla
daraz