ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা Advantages and Disadvantages of E Cap
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা |
ই ক্যাপ ক্যাপসুল ভিটামিন ই প্রধানত মৌখিকভাবে নেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে বাইরে থেকেও ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী ই-ক্যাপ ক্যাপসুলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ভিটামিন ই শরীরের কোষকে সতেজ রাখতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এই নিবন্ধটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন কেন ই-ক্যাপ খাবেন এবং কখন ই-ক্যাপ খাবেন।
ই ক্যাপ ক্যাপসুলের সুবিধা এবং অসুবিধা
প্রতিটি ওষুধের তার সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। আসুন জেনে নিই ই-ক্যাপের সুবিধা ও অসুবিধা।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা
উজ্জ্বলতা বাড়ায়: ই-ক্যাপ আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের ত্বক ও মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ই-ক্যাপগুলি মৌখিকভাবে নেওয়া যেতে পারে এবং সৌন্দর্যের চিকিত্সার জন্য প্রয়োজন অনুসারে বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
চুলের যত্ন: ভিটামিন ই চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চুলে ই-ক্যাপ ব্যবহারের নিয়ম হল এই ক্যাপসুলটি মুখে মুখে নিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করা তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ব্যবহারের পর শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন এক মাস ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
বয়সের ছাপ দূর করতে: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে এবং নানা ধরনের বলিরেখা দেখা দেয়। এই ক্ষেত্রে, E Cap Capsule একটি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম হিসাবে কাজ করে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল, ঝুলে যাওয়া এবং কুঁচকে যাওয়া ত্বকে নিয়মিত মালিশ করা, উজ্জ্বলতা উন্নত করে এবং সব ধরনের বলিরেখা দূর করে।
ক্রিম হিসেবে: যারা নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাদের কাছে ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট হিসেবে ভিটামিন ই খুবই জনপ্রিয়। ভিটামিন ই ক্যাপসুলে কয়েক ফোঁটা তরল নিয়মিত ক্রিম বা লোশনের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ভঙ্গুর নখ রোধ করতে: যারা ঘরের বাইরে বা দৈনন্দিন কাজের কারণে নখ ভঙ্গুর হয়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুলই একমাত্র ওষুধ। নিয়মিতভাবে ই-ক্যাপ ক্যাপসুল থেকে তেল ফাটা নখে মালিশ করলে তা অপসারণ করা যায়।
সানস্ক্রিন: বাইরে কাজ করার কারণে যাদের ত্বক পুড়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই সবচেয়ে ভালো ময়েশ্চারাইজার। কুলিং ক্রিমের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই মিশিয়ে নিলে সহজেই রোদে পোড়া এড়াতে পারবেন।
ক্ষত সারাতে: ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের ক্ষত সারাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ই-ক্যাপ ক্যাপসুল নিয়মিত সেবন করলে যে কোনো ক্ষত খুব দ্রুত নিরাময় হবে।
ভিটামিন ই-এর অভাব পূরণ করতে: ই ক্যাপ ক্যাপসুল শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে নিয়মিত খাবারের সাথে ই-ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়া উপকারী।
ই ক্যাপ ক্যাপসুলের অপকারিতা
সাধারণত, E Cap ক্যাপসুলের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যাইহোক, E Cap এর অত্যধিক ব্যবহার আমাশয় সহ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
আপনাদের প্রশ্নের উত্তর
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি আপনাকে মোটা করে?
না, ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনার ওজন বাড়ায় না। তবে নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন ই প্রয়োজন এবং শরীর সুস্থ থাকে। এটি শরীরকে একটু মোটা করে তুলতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটি ভালো?
ভিটামিন ই ক্যাপসুল সব ভালো। কিন্তু বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-ক্যাপসুল হল ই-ক্যাপ 400, ই-ভিট, ই-জেল ইত্যাদি।
ই ক্যাপ 400 খেলে কি মোটা হয়?
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয়? না, ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খেলে মোটা হওয়া যায়না। তবে নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হবার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকে। এতে শরীর একটু মোটা হতে পারে।
ভিটামিন ই ক্যাপ খেলে কি ক্ষতি হয়?
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিমাত্রায় ভিটামিন ই: এই ভিটামিন অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ক্লান্তি বাড়ে, মাথাব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি হয়। দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হওয়া এবং প্রচণ্ড পেট ব্যথাও হতে পারে। এছাড়াও আছে মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাথায় দিলে কি হয়?
চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে দইয়ের মিশ্রণের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু'দিন এটি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে। চুলের উজ্জ্বলতাও ফিরবে।
ই ক্যাপ 400 এর দাম কত?
ই ক্যাপ 400 এর প্রতি পিসের দাম হল ৬.৫০ টাকা করে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি ত্বকের জন্য ভালো?
ভিটামিন ই ইমিউন সিস্টেম, কোষের কার্যকারিতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে । এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এটি পরিবেশে খাদ্য এবং বিষাক্ত পদার্থের বিপাক দ্বারা উত্পাদিত ফ্রি র্যাডিকেলের প্রভাবগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর করে তোলে। ভিটামিন ই ত্বকের UV ক্ষতি কমাতে উপকারী হতে পারে।
ই ক্যাপ খেলে কি হয়
ই ক্যাপ
ই ক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ই ক্যাপ 400 এর দাম কত
ই ক্যাপ কিসের ঔষধ
ই ক্যাপ ২০০ এর উপকারিতা
ই ক্যাপ কখন খেতে হয়
ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ 200 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 400 এর অপকারিতা
ই ক্যাপ 400 এর কাজ কি
ই ক্যাপ ৪০০
ই ক্যাপ 400 মুখে দিলে কি হয়
ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ই ক্যাপ ৪০০ এর উপকারিতা
ই ক্যাপ এর কাজ কি
ই ক্যাপ ৪০০ খেলে কি হয়
ই ক্যাপ 400 খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম
ই ক্যাপ খেলে কি মোটা হয়
ই ক্যাপ এর উপকারিতা
ই ক্যাপ ২০০ মুখে ব্যবহার
ই ক্যাপ 400 দাম কত
ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ ক্যাপসুল
ই ক্যাপ ৪০০ এর দাম
ভিটামিন ই ক্যাপ
ই ক্যাপ 600 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ ২০০
ই ক্যাপ ৪০০ কিভাবে খেতে হয়
ই ক্যাপ 400
ই ক্যাপ প্লাস এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 200 এর দাম কত
ই ক্যাপ কি কাজ করে
ই ক্যাপ এর দাম কত
ই ক্যাপ এর দাম
bangladesh ই ক্যাপ ৪০০ এর দাম
ই ক্যাপ ৪০০ এর কাজ কি
ই ক্যাপ মুখে দিলে কি হয়
ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ 200 এর দাম
মুখে ই ক্যাপ ব্যবহারের নিয়ম
ই ক্যাপ ট্যাবলেট
ভিটামিন ই ক্যাপ এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 400 এর খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ দাম কত
ই ক্যাপ ২০০ চুলে ব্যবহারের নিয়ম
ই ক্যাপ প্লাস খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ কিভাবে খেতে হয়
ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ই ক্যাপ খাওয়ার উপকারিতা
ই ক্যাপ ২০০ এর দাম কত
ই ক্যাপ ২০০ এর দাম
ই ক্যাপ ৬০০ এর উপকারিতা
ই ক্যাপ ২০০ খেলে কি হয়
ডাই ক্যাপ ক্যাপসুল
ই ক্যাপ কেন খায়
ই ক্যাপ 400 এর দাম
চুলে ই ক্যাপ ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়ার উপকারিতা
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url