বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০২ Bangla Valobasar Golpo - Tor Asokto - 02
বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০২ |
বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛
- ✔️গল্পের নামঃ 💛 তোর আসক্ত 💛
- ✔️লেখকঃ শিফা আফরিন মিম
- ✔️সংগৃহীতঃ ফেছবুক থেকে
💛 তোর আসক্ত 💛 গল্পের সকল পর্ব সমূহের তালিকা নিচে দেখানো হচ্ছে । গল্পটি কারো যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার প্রিয় জনের কাছে শেয়ার করে তাকেও এই 💛 তোর আসক্ত 💛 গল্পটি পড়ার সুযোগ করে দিবেন ।
🔴 বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০২
রুপসা আয়ানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু বার বারই ব্যার্থ হয়।
আয়ান একটু দূরে সরে যেতেই রুপসা এক ধাক্কায় আয়ানকে দূরে সরিয়ে দেয়। তারপর বিছানা থেকে তারাতারি নেমে পড়ে।
রুপসা - অনেক অসভ্যতামি দেখছি আর না। আপনি বের হবেন নাকি আমি মা কে ডাকবো?
রুপসার ধাক্কা খেয়ে আয়ান বিছানায় পড়ে যায়। আর এখন শুয়ে শুয়ে কথা শুনে যাচ্ছে।
রুপসা - কি হলো? কথা কানে যাচ্ছে না নাকি? বের হোন এক্ষুনি।
আয়ান কিছু না বলে বিছানা থেকে নেমে দাড়ায়।
আয়ান - ওকে চলে যাচ্ছি। কিন্তু তুমি নিজেই যেহেতু নিজের বিপদ বাড়িয়েছো সো রেডি থেকো.... বলেই আবার বেলকনির কাছে যায়। রুপসা দৌড়ে আয়ানের কাছে যায়।
রুপসা - আপনি কি বেলকনি দিয়েই নামবেন?
আয়ান - কেনো? (রাগী কন্ঠে)
রুপসা - না মানে যদি পড়েটরে ব্যাথা পান তাই বলছিলাম আরকি।
আয়ান - আমাকে নিয়ে তোমার এতোটা না ভাবলেও চলবে বুঝছো... যত্তসব।
আয়ান চলে গেলে রুপসা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আয়ানকে রাস্থায় নামতে দেখে রুপসা একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে রুমে চলে আসে।
বিছানায় শুয়ে কিছুক্ষন আয়ানের কথা ভাবে রুপসা। তারপর হটাৎ ঘুমের রাজ্য পাড়ি দেয়।
সকলে...
রুপসা ঘুমঘুম চোখে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৮ টা বাজে। তারাতারি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়।
ব্রেকফাস্ট করার জন্য নিচে নামতেই দেখে সবাই খাবার টেবিলে বসা।
রুপসা - মা আমকে ডাকলে না কেনো?
রুপসার মা - ডাকলেই বুঝি তুমি শুনো? ৭ টা থেকে ডেকেই চলেছি বুঝেছো এতোখনে উঠার সময় হলো তোমার!
রুপসা - হুহহ ঘুম ভাঙে না কি করবো বলো।
রুপসার মা - হয়েছে এবার খেয়ে নাও। আর ভার্সিটির ড্রেস পড়ে আসলি যে? তুই কি আজ ভার্সিটি যাবি নাকি?
রুপসা - হ্যা। কেনো এতো অবাক হওয়ার কী আছে মা?
রুপসার মা - ওফফ বাবা! তোকে নিয়ে আর পারলাম না। সামনের সপ্তাহে বিয়ে কতো কাজ বাকি সে খেয়াল আছে তোর? তাছাড়া কেনাকাটা ওত করা হয়নি। তুই যদি এখন আমাদের সাথে না থাকিস তাহলে কিভাবে হবে শুনি? বিয়েটা তো তোরই নাকি?
রুপসা - ওহো মা। তুমি তোমার পছন্দ মতো সব নিয়ে নিও। তোমার পছন্দের উপর আমার পুরো বিশ্বাস আছে। তোমার চয়েজ বেষ্ট!
রুপসার মা - দেখ রুপসা তোর কোনো বাহানা চলবে বা এখন বুঝছিস? আমি বললাম তুই এ কদিন কোথাও যাবি না মানে যাবি না ব্যাস।
রুপসা - ওহহ বাবা মাকে একটু বুঝাও না প্লিজ। দেখো এমনিতেও তো অনেক দিন ভার্সিটি বন্ধ পড়বে এখন যদি না যাই তো আমার বেষ্টি গুলোর সাথে দেখা হবে না। তার থেকে ভালো আজ দেখা করে আসি সবার সাথে।
রুপসার বাবা - আচ্ছা ঠিক আছে যাও তবে তারাতারি ফেরার চেষ্টা করো কেমন।
রুপসা - ওকে বাবা।
রুপসার মা - এই তো দিলে! তারাতারি ফেরার মেয়ে ও? আড্ডা দিয়ে দেখো আজ রাত না করে ফেলে!
রুপসা - না মা। আজ কোনো গল্প করবো না কারো সাথে আড্ডা ও দিবো না প্রমিস। তারা তারিই চলে আসবো বাসায়।
রুপসার মা - দেখা যাবে।
রুপসা খাবার শেষ ভার্সিটির জন্য বেরিয়ে পরে।
ভার্সিটিতে আসতেই দেখে ওর সব বন্ধবী রা একসাথে বসে কথা বলছে। রুপসা ও ওদের সাথে যোগ দেয়।
রুপসা - হ্যালো গাইস....
টিয়া - কিরে আজ এতো তারাতারি?
রুপসা - তারাতারি কোথায় রে? আজ তো আরও আগে আসতে চেয়েছিলাম তবে ঘুম থেকে উঠতে পারি নি তাই আসাও হলো না।
হিয়া - ওহহ বাবা অনেক উন্নতি হচ্ছে দেখি। তা এতো তারাতারি আসার কারন টা কী জানতে পারি?
রুপসা - কিসের কারন? তোদের সাথে আড্ডা দিতেই আসতে চাইছিলাম তারাতারি। অন্য কোনো কারন নেই।
হিয়া - বললেই হলো? কারন আছে বলেই তো আসতি। কই এতো দিনে তো একবার ও তারাতারি আসিস নি। ক্লাস শুরু হয়ে গেলে তার পর তোর দেখা মিলতো।
এই.... কারো প্রেমে টেমে পড়িস নি তো?
রুপসা - কিহহহ? তোরা কি পাগল? সব কিছু জেনেও এমন কথা বলছিস? জানিস না আমি এই সব পছন্দ করিনা।
হিয়া - ওকে বাবা বাদ দিলাম এইসব। কাল এলি না যে?
রুপসা - সেটাই তো তোদের বলতে এলাম। কিন্তু তোরা তো শুনছিস ই না।
টিয়া - হ্যা বল।
রুপসা কালকের সব কিছু ওদের কে বলে। শুধু আয়ানের ব্যাপারে কিছু বলে নি।
হিয়া - কিহহহহ! আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না! বাবাহহহ আমাদের রুপসার বিয়ে ভাবা যায়!
টিয়া - দোস্ত কি একটা খবর দিলি রে! তোর বিয়েতে ফাটিয়ে মজা করবো!
রুপসা - আচ্ছা বাবা সে সব না হয় হবে। এখন ক্লাসে চল।
তারপর সবাই উঠে ক্লাসের দিকে পা বাড়ায়।
রুপসা ক্লাসে ঢুকতেই সোহন (রুপসার ক্লাসমেট) রুপসাকে টিজ করা শুরু করে....
রুপসা - ওফফ এই অসভ্য ছেলেটার জ্বালায় আর বাঁচি না। প্রতিটা দিন যা নয় তা বলেই যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে ঘুষি মেরে নাকটা ফাটিয়ে দিই। বিরক্তিকর!
সোহন - হ্যালো ডার্লিং.... কাল আসো নি কেনো? জানো তোমায় কতোটা মিস করেছিলাম?
সোহন কথা গুলো আস্তে আস্তে বললেও অনেকে শুনতে পায়ে রুপসার দিকে তাকিয়ে থাকে। এতে রুপসা বেশ অস্বস্তি ভোগ করছে।
হিয়া - সোহন তোমকে আর কতো বার বলবো এটা ক্লাস ভদ্র ভাবে কথা বলো। তুমি এই রকম বিহেভ করো কেনো রুপসার সাথে?
সোহন - তাতে তোমার সমস্যা টা কী শুনি? আর তুমি চুপ করে থাকো ওকে কারন আমি তোমকে কিছুই বলছি না যা বলার রুপসাকে বলছি।
টিয়া - আহ হিয়া ছাড়না। ও যে একটা ফাজিল সবাই জানে। শুধু শুধু ওর সাথে ঝগড়া বাড়িয়ে লাভ নেই চল।
সোহন একের পর এক রুপসাকে এই সেই বলেই যাচ্ছে। আর রুপসা চুপচাপ বসে আছে। কারন সে জানে সোহন কে কেউ কিছুই বলতে পারে না। এই ভার্সিটির সবাই সোহন কে ভয় পায়। কেউ ওর খারাপ কাজে প্রতিবাদ করতে আসলেও তার অবস্থা খারাপ করে ফেলে। রুপসাও এই ভয়ে সোহনের বাজে কথা গুলো হজম করছে।
ক্লাসে টিচার আসলে রুপসা আর সোহনের কথায় পাত্তা দেয় না। ক্লাসেই মন দেয়।
এদিকে....
আয়ান বাসায় আসার পর থেকেই রেগে আছে। কিন্তু তার বাবা নাকে বুঝতে দিচ্ছে না। নিজের রুমে এসে দরজা আটকে বসে আছে।
আয়ান - ইচ্ছে করছে ঐ ফাজিল মেয়েটাকে গলাটিপে মেরে ফেলি। আমার কথার অবাধ্য হওয়া তাই না! ও তো জানেনা আয়ান চৌধুরী কি জিনিস!
কিছুক্ষন নিজে নিজে কথা বলার পর আয়ান গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে। অফিসের কিছু কজ বাকি আছে সেগুলো করেই বাড়ি ফিরবে ঠিক করেছে।
রুপসার ভার্সিটি ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফিরতে নিলেই হিয়া বলে...
হিয়া - কিরে চলে যাচ্ছিস?
রুপসা - হ্যা। মা বললো তারাতারি ফিরতে।
হিয়া - আরে একটু তো বসে যা। এমনিতেও তো কয়েক দিন আসতেই পারবি না।
রুপসা - এখন বসলে মার কাছে বকা খাবো সিরিয়াসলি। কারন তোরা তো জানিস আমি আড্ডা দেয়া শুরু করলে আর থামার নামও নিই না।
টিয়া - আচ্ছা বাবা যা। আর শোন রাস্তায় যদি ঐ সোহন অসভ্য টা বিরক্ত করে তো আজ গিয়েই আংকেল কে সব বলবি বুঝেছিস?
রুপসা - হ্যা বলতে তো হবেই। ও যা বার বেড়েছে না!
হিয়া - হুম যা তুই আর আমাদের কে ভুলে যাস না জেনো!
রুপসা - নারে তোদের ভুলবো ক্যামনে... তোরা আমায় এতো এতো জ্বালাইছিস এতো সহজে কি ভুলতে পারি বল!
হিয়া আর টিয়া দুজনই হেসে দেয়। রুপসা ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসে।
এদিকে ছুটির পরই সোহন রুপসাকে পুরো ভার্সিটি খুঁজছে কোথাও পাচ্ছে না।
সোহন ওর কয়েক টা বন্ধু কে নিয়ে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে রুপসার বাড়ির দিকে যেতে শুরু করে....
রুপসা অনেক খন যাবৎ রিকশার জন্য দাড়িয়ে থেকেও কোনো রিকশা পায় নি। অবশেষে হেঁটেই যাওয়া ধরে।
কিছুদূর যেতেই কেউ এসে রুপসার হাত চেঁপে ধরে। রুপসা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। আয়ান এখনেও চলে আসে নি তো? ভাবতে ভাবতেই রুপসা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে সোহন!
রুপসা - তুমি! আমার হাত ধরলে কেনো?
হাউ ডেয়ার ইউ!
সোহন - তোমার হাত ধরতে কি আমার পারমিশন লাগবে নাকি সাহস লাগবে?
রুপসা - দুইটাই লাগবে। আমি অন্য মেয়েদের মতো তোমার অসভ্যতামি মেনে নিবো না বুঝলে?
সোহন - ওহহহ বাবা বলে কী? অসভ্যতামি কই করলাম? আমি তো তোমার কাছে শুধু একটা কথাই জনতে চাইছি। তুমি বলে দাও তাহলেই আমি শান্তি ব্যাস।
রুপসা - ক কী কথা?
সোহন - ঐ যে আই লাভ ইউ এর উত্তর টা তো এখনো পাইনি!
রুপসা - দেখো সোহন তোমার সাথে কথা বলার আমার কোনো ইচ্ছেই নেই। আমার হাতটা ছাড়ো বলছি।
সোহন - ছাড়বো না। কী করবে তুমি?
রুপসা নিরুপায় হয়ে হাত টা ছাড়াতে চেষ্টা করেই যাচ্ছে।
হটাৎ ওদের সামনে একটা গাড়ি এসে ব্রেক কষে।
সোহন আর তার সাথের বন্ধুরা কিছুটা রেগে যায়। কারন আজ পর্যন্ত ওদের কাজে কেউ বাধা দিতে পারেনি। আর আজ কেউ ওদের কাজে ডিস্টার্ব করলো!
সোহন রেগে গাড়ির দিকে তাকায়। গাড়ি থেকে একজন সুদর্শন পুরুষ কে নামতে দেখে, হোয়াইট কালার শার্ট তার উপর আবার হোয়াইট কালার এর ব্লেজার, ব্ল্যাক জিন্স, হাতে দামী ঘড়ি, চোখে সানগ্লাস, চুল গুলো একটু বড় বড়, চোখে মুখে এসে পড়ছে, চাপ দাড়ি, গায়ের রং ও ফর্সা। দেখতেই বুঝা যাচ্ছে সোহন এর থেকে বয়সে কিছুটা বড় হবে। তাছাড়া দেখতেও সোহনের থেকে অনেক সুন্দর। যাকে বলে রাজপুত্র!
সোহন - আরে ভাই কে আপনি? এভাবে হুট করে এসে কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন কেনো বলুন তো? (বিরক্ত হয়ে)
এবার রুপসা ও ছেলের দিকে তাকায়। একপলক ছেলেটা কে দেখতেই রুপসা যেনো নিজের প্রাণ ফিরে পায়।
আয়ান! উনি এখানে! ব্যাস আমার আর চিন্তা নেই। উনি নিশ্চয় এই অসভ্য সোহন এর কাছ থেকে আমাকে রক্ষা করবে। আয়ান কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুপসা বলে উঠে.....
রুপসা - উনি আমার বফ...!
রুপসার কথা শুনে আয়ান বেশ অবাক হয়। তার চেয়েও বেশি অবাক হয় সোহন। কারন সে ভালো মতোই জানতো রুপসা এই সব রিলেশন করা পছন্দ করে না। তাহলে আজ? ও কেনো এই ছেলেকে নিজের বফ বলছে? তাহলে এই জন্যই কি সে সোহন কে এড়িয়ে চলে? এই সব ভাবতেই সোহনের প্রচন্ড রাগ হয়। রেগে গিয়ে আয়ান কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়ান রুপসার হাত ধরে টেনে গাড়িতে বসিয়ে দেয়। এবার সোহন আরও অবাক হয়ে যায়!
তার মানে সত্যিই রুপসা অন্য কারো সাথে রিলেশন করছে!
আয়ান - তোর সাথে পরে দেখা করছি। (সোহন কে উদ্দেশ্য করে)
-- বলেই গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
তিয়াস (সোহনের বন্ধু) - দোস্ত এটা কী হলো? ঐ রুপসার যে বয়ফ্রেন্ড আছে আমরা তো জানতামই না। ধুররর শুধু শুধু এইটার পিছন পড়ে থেকে সময় নষ্ট করছিস!
সোহন - বয়ফ্রেন্ড থাকুক আর বর থাকুক ওকে তো আমার চাই ই চাই। যেভাবেই হোক ওকে আমার করেই ছাড়বো!
আয়ান রুপসাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও অপর সীটে বসে পড়ে। আয়ান রেগে রুপসার দিকে তাকায়...
আয়ান - বয়ফ্রেন্ড আছে ভালো কথা। প্রেম করবা তাও ভালো কথা। তাই বলে এই রাস্তায় এতো লোকজনের সামনে এভাবে হাত ধরে....!
আয়ানের কথা শুনে রুপসা যেনো জমিনে পড়ে। আয়ান ভালো করেই বুঝতে পেরেছে সোহন ওকে টিজ করছিলো। তার পরও বলছে বয়ফ্রেন্ড!
রুপসা বিরক্তিমাখা মুখ করে বলে...
রুপসা - দেখুন আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড টয়ফ্রেন্ড নেই। ঐ সোহন আমাকে ডিস্টার্ব করে আজও তাই করছিলো। আপনার কি মনে হয় ওর সাথে প্রেম করছিলাম।
আয়ান - করছিলে না বুঝি?
রুপসা - ওফফ... আপনার সাথে কথা বলা টাই ভুল। আমি বাড়ি যাবো ---- বলেই গাড়ি থেকে বের হতে নেয়।
তার আগেই আয়ান রুপসার কোমড় চেঁপে একটানে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
আয়ান - আমি তোমার হবু বর। ভুলে গেলে নাকি?
রুপসা - ভুলার কি আছে আজিব।
আয়ান - তাহলে আমি যা বলবো তাই করবে। গাড়ি থেকে বের হচ্ছিলে কেনো? আমি বলেছি বের হতে?
আয়ানের ধমক শুনে রুপসা কিছুটা ভয় পায়। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে...
রুপসা - ভয় পাবো কেনো?
আয়ান - ওহহহ তুমি তো আবার ভয় পাও না। সাহসী মেয়ে!
রুপসা - আমি বাড়ি যাবো।
আয়ান - তো তোমার কি মনে হই বিয়ের আগেই তোমকে শশুড়বাড়ি নিয়ে যাবো? ইডিয়ট!
রুপসা রেগে বাহিরের দিকে মুখ করে বসে থাকে আয়ান রুপসাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
রুপসা গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভেতরে চলে যায়। আয়ান ও পিছন পিছন যায়। সিঁড়ি বেয়ে উঠার আগেই আয়ান রুপসার হাত টেনে নিজের কাছে আনে।
রুপসাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রুপসার গলার তিলটায় জোরে চুমু খায় আয়ান।
সকল পর্ব এর তালিকা ঃ
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০১
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০২
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৩
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৪
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৫
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৬
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৭
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৮
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ০৯
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ১০
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ১১
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ১২
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ১৩
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ১৪
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ ১৫
- বাংলা ভালোবাসার গল্প 💛 তোর আসক্ত 💛 পর্বঃ শেষ
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url