amarbangla

কুষ্টিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান - মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা

Mir Mosharraf Hossain Bastubita
Mir Mosharraf Hossain Bastubita


মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা | Mir Mosharraf Hossain Bastubita

মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান, যা কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত কবি মীর মোশাররফ হোসেনের নিজের বসতবাড়িকে নির্দেশ করে। এই বাড়িটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত। বর্তমানে এই বাস্তভিটা সরকারি অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিস্থান। ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি লাইব্রেরী ও অডিটরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।

মীর মশাররফ হোসেনের ইতিহাসঃ 

মীর মশাররফ হোসেনের বসতভিটাটি বহু আগে থেকে বেদখল অবস্থায় ছিলো। ১৯৭২ সালে স্থানীয়রা মূল বাড়ির জায়গাটির কিছু অংশ উদ্ধার করে সেখানে স্থাপন করেছে মীর মশাররফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়টির মাঠের এক কোণে স্থাপন করা হয় মীর মশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯২ সালে সরকারি তত্ত্বাবধানে মীর মশাররফ হোসেন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১০ সালে মাঠটির একই কমপ্লেক্সে পাঠাগার কাম অডিটোরিয়াম স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার’র গভর্নর অরুন্ধতী ভট্টাচার্য সপরিবারে বেড়াতে এসেছিলেন এই বাড়িতে। তিনি লক্ষাধিক টাকার বই দান করেছিলেন এই পাঠাগারে।

মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ির বর্ণনাঃ 

মীর মশাররফের মূল বসতবাড়িটি ছিলো ৩২ বিঘা জমির ছিলো, কিন্তু এখন মাত্র তিন বিঘা জমির উপরে রয়েছে, বাকিগুলো বেদখল রয়েছে। বাড়ির মাঠের একপাশে উচ্চ বিদ্যালয়, এক পাশে পাঠাগার ও পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। বাড়ির মূল ফটকের বাইরে রয়েছে তিনটি চায়ের দোকান ও বেশ কয়েকটি ত্রিকোণাকৃতি স্তম্ভ রয়েছে। স্তম্ভগুলোতে মার্বেল পাথরে খোদাই রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের বিভিন্ন বইয়ের বিখ্যাত উক্তি লেখা আছে, তবে এগুলো অবিকৃত নেই। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া



মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটাঃ 

কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে একসময়ের জনপ্রিয় উপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা (Mir Mosharraf Hossain Bastubita) অবস্থিত। মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জমিদার মীর মোয়াজ্জেম হোসেন কতৃক নিজ গৃহে নিয়োজিত মুন্সির দ্বারা আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। এরপর কুষ্টিয়া স্কুল, কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল, কলকাতার কালীঘাট স্কুলে পড়াশুনার মাধ্যমে তাঁর শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

মীর মশারফ হোসের তাঁর কর্ম জীবনের শুরুতে পিতার জমিদারি দেখাশুনার দ্বায়িত্ব নেন। এরপর শুরু করেন চাকরী, একসময় চাকরি ছেড়ে ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় পাড়ি জমান। ঊনিশ শতকের বাঙালী মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ মীর মশাররফ হোসেনের মোট গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩৭টি। বিশুদ্ধ বাংলায় একে একে তিনি লিখে গেছেন বিভিন্ন কালজয়ী গদ্য, পদ্য, প্রবন্ধ, নাটক এবং উপন্যাস। তৎকালীন সময়ে ‘জমিদার দর্পন’ নাটকের জন্য তিনি শ্রেষ্ট নাট্যকারের মর্যাদা লাভ করেন।


লাহিনীপাড়ায় কবির জন্মস্থানকে ঘিরে বর্তমানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি লাইব্রেরী, জাদুঘর ও অডিটরিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে।

মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ি কিভাবে যাবেন

কুষ্টিয়া জেলা শহরের যেকোন জায়গা হতে রিক্সা বা ইজিবাইকে চড়ে সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর টোল ঘাটের পাশে লাহিনীপাড়া মোড় নামক স্থানে অবস্থিত মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় যেতে পারবেন।

ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া

ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেনে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। রাজধানীর কল্যানপুর থেকে চলাচলকারী নিউ এসবি সুপার ডিলাস্ক, শ্যামলী, হানিফ ইত্যাদি বাসের ভাড়া নন-এসি ৬০০-৭০০ টাকা, এসি ১০০০-১২০০ টাকা।


ট্রেন এ যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস এ যেতে পারবেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকালে ছেড়ে যায় ৮ টা ১৫ মিনিট এ, মধুমতি এক্সপ্রেস বিকাল ৩ টায় ও বেনাপোল এক্সপ্রেস রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট এ কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনের আসনভেদে টিকেট এর মূল্য ২৯০ থেকে ৮০০ টাকা। ট্রেনে গেলে আপনাকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নামতে হবে। কুষ্টিয়া শহর থেকে যে কোন রিক্সা অথবা অটো কে বললেই মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় নিয়ে যাবে।

কোথায় থাকবেন

কুষ্টিয়া শহরে মোটামুটি মানের আবাসিক হোটেলে রাতে থাকতে পারবেন। একটু ভাল মানের হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল রিভার ভিউ ও হোটেল নূর ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া মজমপুর ও এন এস রোডে বেশ কিছু মধ্যম মানের হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন

কুষ্টিয়ার কোর্ট স্টেশন এলাকার হোটেল শফি-তে খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল, খাওয়া-দাওয়া হোটেলে ভাল মানের খাবার পাওয়া যায়। আর কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি মালাই অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তথ্যসুত্রঃ ভ্রমন গাইড 

মীর মশাররফ হোসেনের Google Map: 





মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ির চিত্রঃ 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
amarbangla
amarbangla
Our Telegram Group / Channel Join Now
Our Facebook Page Follow Now
amarbangla
daraz