পাতরাইল জামে মসজিদ - ফরিদপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী মসজিদ
পাতরাইল জামে মসজিদ |
পাতরাইল মসজিদ বা মজলিশ আউলিয়া মসজিদ বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার পাতরাইলে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ।
পাতরাইল জামে মসজিদ - নির্মাণ কাল ঃ
প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী আউলিয়া খান জামে মসজিদ যা ১৩৯৩ হতে ১৪১০ খ্রি. মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ নির্মাণ করেন বলে ধারণা করা হয়। এ ঐতিহাসিক মসজিদের দক্ষিণ পাশে চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন মহান আউলিয়া মজলিস আউলিয়া খান। মসজিদের আঙ্গিনায় আছে মস্তান দরবেশ নাজিমদ্দিন দেওয়ানের মাজার। আউলিয়া খানের মাজারের দক্ষিণ পাশে আছে ফকির ছলিমদ্দিন দেওয়ানের মাজার। জনশ্রুতি আছে যে, অত্র এলাকায় প্রজাদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনকল্পে ও ইবাদতের জন্য মসজিদের পার্শ্বেই ৩২.১৫ একর জমির উপর একটি দীঘি খনন করেন। বর্তমানে এটি ভাঙ্গা উপজেলাধীন পাতরাইল দীঘিরপাড় আউলিয়া মসজিদ নামে সুপরিচিত। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকেউইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মসজিদটি আয়তাকার বহু-গম্বুজ বিশিষ্ট। এর নকশা এবং স্থাপত্য শৈলী রাজশাহীর বাঘা মসজিদ এর মত। পঞ্চভূজ খিলান বিশিষ্ট মূল প্রবেশদ্বারটি পূর্বদিকে।
আরও দেখুনঃ
- বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা
- বাংলাদেশের মসজিদের তালিকা
- ঢাকা বিভাগের মসজিদের তালিকা
পাতরাইল জামে মসজিদ
পাতরাইলমসজিদ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। বিরল এবং সুন্দর কারুকার্য সম্পন্ন প্রাচীন মসজিদটি মজলিশ আউলিয়া মসজিদ নামেও পরিচিত। আয়তাকার, দশ গম্বুজ বিশিষ্ট পাত্রাইল মসজিদটি স্থাপত্য শৈলীতে রাজশাহীর বাঘা মসজিদের অনুরূপ। মসজিদের পূর্ব দিকে পাঁচটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। মসজিদের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে আরও দুটি প্রবেশপথ রয়েছে। প্রায় দুই মিটার পুরু দেয়াল দিয়ে নির্মিত মসজিদটির অভ্যন্তরীণ দৈর্ঘ্য 21.79 মিটার এবং প্রস্থ 8.60 মিটার। পাত্রাইল দীঘিদার আউলিয়া মসজিদের কাছে বিখ্যাত সুফি সাধক মজলিশ আবদুল্লাহ খান আউলিয়ার মাজার, একটি মাদ্রাসা এবং দুটি বিশাল দীঘি রয়েছে।
অপূর্ব পাত্রাইল মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের শাসনামলে বিখ্যাত সুফি দরবেশ মজলিশ আবদুল্লাহ খান আউলিয়া এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন এবং মসজিদটি নির্মাণ করেন। আর তার নামের কারণে এটি মজলিশ আউলিয়া মসজিদ নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে পাতরাইল মসজিদ বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
কিভাবে যাব
ঢাকা গাবতলী বাস স্টপ থেকে গোল্ডেন লাইন ও সাউথ লাইন বাসে সরাসরি ফরিদপুর যেতে পারেন। ফরিদপুর-বরিশাল সড়কের ভাঙ্গা গোলচত্বরে নেমে ভাঙ্গা-মাওয়া বিশ্ব সড়ক থেকে ৮ কিমি পূর্বে এবং পুলিয়া থেকে ৪ কিমি এগিয়ে গেলে পাতরাইল মসজিদ দেখতে পাবেন।
এছাড়াও ঢাকার গুলিস্তান পোস্তগোলা বা বাবুবাজার ব্রিজ থেকে মাওয়াগামী বাসে চড়ে কাওড়াকান্দিতে বোট/স্পিড বোটে করে বঙ্গগামী বাসে উঠে পুলিয়া বাজারে নেমে গাড়িতে করে পাতরাইল মসজিদে যেতে পারেন।
বি:ডি: পাত্রাইল মসজিদ পরিদর্শনের ক্ষেত্রে, বই পরিবহন একসাথে। অন্যথায় পাত্রাইল মসজিদ থেকে ফেরার পথে পরিবহন সংকটের সম্মুখীন হতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
পাত্রাইল মসজিদের কাছে কোনো থাকার ব্যবস্থা নেই। তবে ভাঙ্গা উপজেলায় রাতারাতি থাকার ব্যবস্থা সীমিত। তবে সবচেয়ে ভালো হলো ফরিদপুরে চলে যাওয়া।
আর কি দেখবেন?
ফরিদপুর জেলার অন্যান্য পর্যটন ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো হল; গ্রামের কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, হযরত শাহ ফরিদ মসজিদ, জগদ্বন্ধু সুন্দর আশ্রম, আটরশী বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, বাইশ রাশি জমিদার বাড়ি, সদরপুরসাতার মসজিদ, মথুরাপুর দেউল ইত্যাদি।
----
পাতরাইল জামে মসজিদ ভিডিওঃ
----
আমার বাংলা নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url